ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখতে কি কি লাগে | ইথিক্যাল হ্যাকিং করে আয়।

আসসালামু আলাইকুম ইথিক্যাল হ্যাকিং নিয়ে আপনাদের মাঝ থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন বা আমার অন্যান্য পোস্টে কমেন্ট পেয়ে থাকেন যে ইথিক্যাল হ্যাকিং সম্পর্কে কিছু লিখতে। অনেকে সবাই প্রশ্ন করে থাকেন যে ইথিক্যাল হ্যাকিং কি? এবং আমরা যদি এথিক্যাল হ্যাকিং শিখতে চাই তাহলে আমাদেরকে কি কি বিষয়ে জানতে হবে।
ইথিক্যাল হ্যাকিং কি ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখতে কি কি লাগে ইথিক্যাল হ্যাকিং বাংলা কোর্স ফ্রি ইথিক্যাল হ্যাকিং ক্যারিয়ার ইথিক্যাল হ্যাকিং কোর্স ফ্রি ইথিক্যাল হ্যাকিং বই pdf ইথিক্যাল হ্যাকিং এর ভবিষ্যৎ হ্যাকার সাইট ইথিক্যাল হ্যাকিং বই pdf ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখতে কত সময় লাগে ইথিক্যাল হ্যাকিং বাংলা কোর্স ফ্রি ইথিক্যাল হ্যাকিং এর ভবিষ্যৎ ইথিক্যাল হ্যাকিং করে আয় ইথিক্যাল হ্যাকিং বাংলা কোর্স pdf ইথিক্যাল হ্যাকিং কোর্স ফ্রি ইথিক্যাল হ্যাকিং ক্যারিয়ার

সম্মানিত পাঠক বৃন্দ আজকে আমার এই পোস্টটিতে আপনাদের সেই সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে চলেছি যে ইথিক্যাল হ্যাকিং কি এবং সেগুলো শিখতে কি কি প্রয়োজন হবে। সেক্ষেত্রে বলবো আপনি যদি সে প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজেন তাহলে অবশ্যই আমার এই পোস্টটিকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে নেবেন তাহলেই বুঝতে পারবেন যে এ থেকে হ্যাকিং কি এবং শেখার প্রয়োজনীয়তা কি কি।

পোষ্ট সুচিপত্রঃ

  • ইথিক্যাল হ্যাকিং কি?
  • হ্যাকিং কি?
  • হ্যাকার সাইট।
  • ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখতে যা জানতে হবে।

ইথিক্যাল হ্যাকিং কি?

সম্মানিত পাঠক হ্যাকিং কি সে সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে প্রথমেই জানতে হবে হ্যাকিং কি? আসলে বলতে গেলে এখন বর্তমানে যারা অনলাইন ঘাটাঘাটি করেন তারা অবশ্যই এমন কোন মানুষ নেই যে হ্যাকিং সম্পর্কে অজানা রয়ে গেছে। আমি বলব যে আমরা নানা সময়ে নানান বা বিভিন্ন একাউন্ট তৈরি করে থাকি যেমন ইউটিউব, facebook, জিমেইল, টুইটার, লেনদেন ইত্যাদি আরও হতে পারে। আর এইসব এখন খুব সহজেই হ্যাক হতে সুখে থাকি।

হ্যাকিং কি?

হ্যাকিং হচ্ছে কোন অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়ার একাউন্ট একজনের কাছে থেকে অন্য জনের তদারকিতে চলে যাওয়াকেই হ্যাকিং বলে। অর্থাৎ আরেকটু বলতে পারি যে অনলাইনের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টগুলো কোন আইন কানুন ছাড়া অন্যের তদারকি সাইবার সিকিউরিটি ভঙ্গ করে বা অন্য কোন কম্পিউটারের এক্সেস নিজের আয়ত্তে নেওয়া।

আরো পড়ুন,

এ সকল ক্ষেত্রগুলোকেই বা বিষয়গুলোকে হ্যাকিং বলা হয়। আর এসব হ্যাকিং এর উদ্দেশ্যে যেসব ব্যক্তি এসব কাজগুলো করে থাকে তারা কি বলা হয় হ্যাকার। আর যখন হ্যাকার এস সাথে যখন ইথিক্যাল হ্যাকিং শব্দটি জুড়ে দিবেন তখনই একটি বিপরীত দিকে কাজ করবে।
ইথিক্যাল হ্যাকিং কি ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখতে কি কি লাগে ইথিক্যাল হ্যাকিং বাংলা কোর্স ফ্রি ইথিক্যাল হ্যাকিং ক্যারিয়ার ইথিক্যাল হ্যাকিং কোর্স ফ্রি ইথিক্যাল হ্যাকিং বই pdf ইথিক্যাল হ্যাকিং এর ভবিষ্যৎ হ্যাকার সাইট ইথিক্যাল হ্যাকিং বই pdf ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখতে কত সময় লাগে ইথিক্যাল হ্যাকিং বাংলা কোর্স ফ্রি ইথিক্যাল হ্যাকিং এর ভবিষ্যৎ ইথিক্যাল হ্যাকিং করে আয় ইথিক্যাল হ্যাকিং বাংলা কোর্স pdf ইথিক্যাল হ্যাকিং কোর্স ফ্রি ইথিক্যাল হ্যাকিং ক্যারিয়ার

এখানে আরেকটু কথা বলে নেই এথিক্স বলতে আমরা নৈতিক বুঝি আর এর যখন প্রিথিক্যাল এ কথার সাথে যুক্ত হয়ে যায় কাল এর সাথে যুক্ত হওয়ার কারণে একটি নৈতিকতা যুক্ত হয়ে যায়। আর কেনই বা এই ইথিক আর ক্যাল এর সাথে সংযুক্ত রয়েছে সে সম্পর্কে নিশ্চয়ই আপনারা এখন বুঝতে পেরেছেন। অর্থাৎ যে হ্যাকারেরা ইথিকস মেনে হ্যাকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট হয়ে দুর্দান্ত অনলাইন সিকিউরিটি এক্সপার্ট কার্যক্রম পরিচালনা করে।

আমাদের কম্পিউটার ডিভাইস বা অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে এবং সেগুলোকে ঠেকানোর জন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আইনত অনুমতি নিয়ে তার প্রাইভেসি সেসব ডাটা গুলো সম্পর্কে এডমিন করে। এবং তাদের সম্মতির মধ্য দিয়ে যখন কোন হ্যাকার, কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির যে সমস্ত ডিজিটাল অ্যাকাউন্ট গুলো আছে।

সেগুলোকে অত্যন্ত দক্ষতার সহিত প্রটেক্ট প্রদানের মাধ্যমে যিনি কার্যসম্পদন করে সে ইথিক্যাল হ্যাকারের মাধ্যমে করে থাকে। আশা করেছি আমি আপনাদের যেসব কথাগুলো লিখে প্রকাশ করেছি তা আপনারা সহজে বুঝতে পেরেছেন এ থেকে সম্পর্কে বিস্তারিত।

হ্যাকার সাইট।

আপনি যদি ইথিক্যাল হ্যাকার হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান হায়ার করতে পারে অথবা আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন তাহলে তার ওয়েবসাইট বা অ্যাকাউন্ট গুলোকে এমসিকিউ করার জন্য আপনাকে হায়ার করে থাকতে পারে। আরেকটু হবে বলা যায় যে এটি কাল হ্যাকাররা বর্তমান এবং ভবিষ্যতে একটি দুর্দান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সেজন্য আপনি যদি ইতিহাসিক্যাল হ্যাকার শিখতে পারেন তাহলে সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট হিসাবে গড়ে তুলতে পারবেন

ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখতে যা জানতে হবে।

আপনি যখন ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখবেন তখন আপনাকে প্রথমেই যে সব বিষয়গুলো জানতে হবে সেগুলো বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।

Computer Knowledge.

আপনি যদি মোবাইল ইউজার হয়ে থাকেন এবং কম্পিউটার সম্পর্কে আপনার কোন ধারনাই নাই তাহলে আপনাকে সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট হওয়ার ক্ষেত্রে সর্ব প্রথম ধাপ হচ্ছে আপনাকে কম্পিউটার জানতে হবে। যেমন কম্পিউটারের বেসিক থেকে শুরু করে নেটওয়ার্কিং সম্পর্কে বিষয়গুলো যা যা আছে সেগুলো আপনাকে ডেফিনেটলি জানতে হবে।

Search Engine Optimization

এরপরে যে ধাপটি রয়েছে আপনাকে অবশ্যই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। সার্চ ইঞ্জিন কি যেমন ধরুন আমরা গুগলে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করে থাকি তাই বিভিন্ন ধরনের সার্চ ইঞ্জিন হয়ে থাকে google.com, bing.com, মজিলা ফায়ারফক্স, অপেরা মিনি ইত্যাদ।

সেইসব সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে বেসিক এবং অ্যাডভান্স সম্পর্কে অবশ্যই আপনার জ্ঞান থাকতে হবে। এক্ষেত্রে বলা যায় যে আপনি বেসিক থেকে শুরু করে এডভান্স পর্যন্ত যতগুলো জ্ঞান অর্জন করেন না কেন আপনার ক্ষেত্রে ইথিক্যাল হ্যাকিং হওয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

হ্যাকিং সম্পর্কে আরো প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো শেয়ার করার আগেই কিছুটা তথ্য তুলে ধরব। ইতি কারা হ্যাকিং এমন একটি বিষয় যেমন আপনি ইউটিউবে ভিডিও দেখে এক্সপার্ট হওয়াটা সত্যিই খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার সেই জন্য বলবো কোন একটি আইটির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে হ্যাকিং এ সম্পর্কে যে কোর্সগুলো করানো হয় আপনি খুব সহজেই করে নিতে পারেন।

Programming Language

আপনি আপনি যদি একজন ইথিক্যাল হ্যাকার হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ সম্পর্কে জ্ঞান না থাকার কারণে কোন প্রোগ্রামকে সিস্টেমাইজ করতে পারবেন না। বা কোন ওয়েবসাইটকে রিভিউ করতে পারবেন না। সুতরাং আপনি যদি একজন ইথিক্যাল হ্যাকার হতে চান তাহলে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ সম্পর্কে অবশ্যই জ্ঞান থাকতে হবে।
LINUX Operating System

এখানেও একই ভাষা বলে বাহান্ন যে আপনি যদি এথিক্যাল হ্যাকিং শিখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে লিনেস অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান রাখতে হবে। এবং লিনিক্স অপারেটিং সিস্টেমের যে সমস্ত কোড গুলো আছে সেই সমস্ত কোড গুলো সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে।

Networking Knowledge

আপনি যদি একজন ইথিক্যাল হ্যাকার হতে চান বা ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখতে চান আপনাকে নেটওয়ার্ক নলেজ সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রাখতে হবে।

সম্মানিত পাঠক বৃন্দ এ পর্যন্ত আমি যেসব বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করলাম সবগুলোই হচ্ছে আপনার স্কিল সম্পর্কে বা দক্ষতা সম্পর্কে যা প্রথমেই আপনাকে অর্জন করতে হবে বা প্রয়োজন হতে পারে। অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য ধরে সময় নিয়ে ইথিক্যাল হ্যাকিং আয়ত্ত করতে হবে। ধৈর্য ছাড়া এবং সময় না নিয়ে আপনি কোন কাজই করতে পারবেন না। যেকোনো ছোট লক্ষ্যবস্তুকেও ছোট করে দেখা যাবে না।

যেকোনো ছোট বস্তুকে ভালো করে আয়ত্ত করে গুরুত্ব দিতে হবে এবং তার পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে গবেষণা চালাতে হবে। সেসব বিষয়গুলো মেনে যদি আপনি নেটওয়ার্কিং বা ইথিক্যাল হ্যাকিং সম্পর্কে যেসব ধারণা গুলো আছে সে সব ধারণাগুলো মেনে পরিচালনা করতে পারেন তাহলে ছোট ছোট বিষয়গুলো থেকে বড় কোন বিষয় বের করে আনতে পারবেন। যা আপনার ইতি কাল হ্যাকিং এর পথকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করবে।

সম্মানিত পাঠক বৃন্দ তাহলে বুঝতে পারছেন যে আপনি এদিক্যাল হ্যাকিং শিখতে যেসব বেসিক বিষয়বস্তুগুলো আছে সেগুলো আপনাকে ভালোভাবে আয়ত্ত করে এজিকাল হ্যাকিং শিখতে হবে। ধন্যবাদ সবাইকে আমার এই পোস্টটি পড়ার জন্য এবং আমার এই পোস্টটি পড়ে যদি কেউ উপকৃত হয়ে থাকেন বা ইথিক্যাল হ্যাকিং সম্পর্কে আর কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই আমাকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন আমি পরবর্তী পোস্টটি উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব সেই প্রত্যাশাই সবাই ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url