ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি | ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে।

অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম কিভাবে সহজে বাংলায় ওয়েবসাইট তৈরি করা যায় তার একটা টিউটোরিয়াল লিখব। কিন্তু পেশাগত ব্যস্ততার কারণে তা সম্ভব হয়ে উঠেনি। দুবাই থেকে আরাফাত হোসাইন আজকে তেমনি একটা অনুরোধ জানালেন। আমি যেন একটাই বাংলায় ওয়েব সাইট তৈরি করার টিউটোরিয়ালটি লিখি। তাই সব ব্যস্ততার মাঝেও লিখতে শুরু করলাম।
ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি ওয়েবসাইট তৈরির খরচ ওয়েবসাইট তৈরির প্রতিষ্ঠান নতুন ওয়েবসাইট ওয়েবসাইট তৈরির ধাপসমূহ ওয়েবসাইট লিংক ওয়েবসাইট কিভাবে খুলবো মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরী করতে হয় ওয়েবসাইট তৈরির ধাপসমূহ ওয়েবসাইট তৈরির খরচ ওয়েবসাইট লিস্ট ওয়েবসাইট লিংক ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে

আশা করি পাঠকরা বাংলায় তাদের ওয়েবসাইট তৈরি করতে উৎসাহিত হবেন। কোথায় আপনার ওয়েব পেজ তৈরি করবেন। ইন্টারনেটে বেশ কয়েকটি সাইট আছে যেখানে ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। কিছুদিন আগে গুগল সহজে ওয়েব পেজ তৈরির সিস্টেম চালু করেছে।

তবে যেসব ফ্রি সাইট আছে সেগুলিতে বিজ্ঞাপন থাকে, এবং সেগুলি এত রংবেরঙের হয়ে থাকে যে প্রত্যেক অসুবিধা হয়। গুগলের ক্ষেত্রে দেব বিজ্ঞাপন নেই। গুগলের সিস্টেমটি আমি ব্যবহার করি দেখেছি, এবং খুব সহজে তা দিয়ে ওয়েব পেজ তৈরি করতে পারবেন। আছে গুগল এর মাধ্যমে সহজে ওয়েবসাইট তৈরি করার পদ্ধতি লিখবো।

আরো পড়ুন,

ওয়েব পেজ HTML নামে একটি ভাষায় বা কোড লিখতে হয়, কিন্তু google এর ক্ষেত্রে এইচটিএমএল সম্বন্ধে কোন জ্ঞান না থাকলেও খুব সহজে আপনার ওয়েব পেজ তৈরি করতে পারবেন। তবে যারা আগ্রহে তাদের একটি শিখবার পরামর্শ দিব কেননা খুঁটিনাটি পরিবর্তনের সময় বেশ সাহায্য করে।

প্রথমে আপনার ওয়েব ব্রাউজারে পেজটি খুলুন। Http://pages.google.com ও আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগইন করুন। যদি আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্ট না থাকে তবে আমাকে ইমেইল দিন আমি নতুন ইমেইল খোলার আমন্ত্রণ পাঠাবো।

উল্লেখ্য যে গুগলের এ সিস্টেমটি এত বেশি জনপ্রিয় যে অনেক সময় নতুন ব্যবহারকারীদের লগইন করবার সুবিধা দেয় না। আমি প্রথমে চেষ্টা করে বিফল হয়ে মনটা খারাপ করেছিলাম। ৪-৫ মিনিট পরে আবার চেষ্টা করে দেখলাম তখন লগইন করতে পারছি। তাই আপনারা মন খারাপ না করে কিছুক্ষণ পরে চেষ্টা করে দেখুন।

লগইন করার পরে যে পাতা আসবে তাতে সরাসরি টাইপ করে লিখবেন এবং publishবোতামটি ক্লিক দিলে মুহূর্তের মধ্যে আপনার ওয়েবসাইটটি চালু হয়ে যাবে। ওয়েব পেজটি ঠিকানা পেজের ঠিক নিচে লেখা আছে। যখন publish to?? আপনার ঠিকানা বোতাম টি ক্লিক করবেন তখন নতুন একটি পেজ খুলবে এবং আপনার তৈরি করা পেজটি দেখতে পাবেন।

যে ঠিকানাটি দেখতে পাবেন, সেটি আপনার ওয়েবসাইটের ঠিকানা। গুগল সাধারণত ব্যবহারকারীর নাম . Google page. Com এই ঠিকানায় আপনার প্রথম পাতাটি শুরু করে। প্রথমে যে পেজটি দিয়ে ওয়েবসাইট শুরু হয় তাকে front page বা index page বলে। প্রথম পাতায় এভাবে খুব সহজেই আপনি যা লিখতে চান তা সরাসরি টাইপ করে লিখতে পারবেন।

যদি publish না করে শুধু সংরক্ষণ করে রাখতে চান তবে শুধু save now বোতাম টি ক্লিক করুন। আপনার এই নতুন ঠিকানাটি আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।Google ১০০ মেগাবাইটের মত জায়গা আপনাকে ফ্রি দিবে। তবে এটি বেশ অনেকখানি জায়গা। আশা করি ৪৫ বছর অনেক লেখালেখি করে এটি শেষ করতে পারবেন না।

বাংলায় লিখা: গুগলে এইভাবে ওয়েব পেজ তৈরিতে সরাসরি বাংলা লিখে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। বাংলা টাইপের জন্য ইউনিকোড ব্যবহার করুন। বাংলা টাইপের জন্য শাব্দিক অভ্র কিংবা একুশে স্বাধীনতা ব্যবহার করতে পারেন। আলাদাভাবে অন্য কোন কিছু করতে হবে না।

বাংলা টাইপের যে কোন সিস্টেমটি ইন্সটল করুন ও ব্যবহার করুন এবং google এ ওয়েব পেজ লিখবার সময় তা বাংলায় লিখুন। ব্যাস, আর কোন জটিলতা নেই, কোন কোডিং করা নেই কোন সমস্যা নেই। গুগলে আপনার পেজের টাইটেলটি একদম উপরে যেটি থাকে বাংলায় লিখে একটু সমস্যা হতে পারে, তবে মূল অংশে বাংলা কোন সমস্যা করবে না।

লিংক: প্রথম পাতায় আপনার ওয়েবসাইট থেকে অন্য পাতায় যাবার ব্যবস্থাকে লিংক বলে। যেখানে লিঙ্ক রাখতে চান সেলিং গুলিকে প্রথমে মার্ক করুন তারপরে বামের লিঙ্ক বোতলটি ক্লিক করুন। গুগল লিঙ্ক চার ধরনের হতে পারে।

Your page: আপনার ওয়েবসাইটের মধ্যে যে পাতাগুলি আপনি তৈরি করেছেন, your file যদি কোন ফাইল আপনি আপলোড করে থাকেন সেগুলো লিংক দেবার জন্য। Web address অন্য কোন ওয়েবসাইটের লিংক email address কোন ইমেইল ঠিকানার লিংক।

লেআউট পরিবর্তন: change lock এবং change Layout দিয়ে আপনার ওয়েব পেজের লে আউট রং পরিবর্তন করতে পারবেন। গুগলের অনেক গুলি template রয়েছে সেখান থেকে আপনার পছন্দমত টেমপ্লেট বেছে নিন। গুগলের সুবিধা হল একবার আপনি ওয়েব পেজ তৈরি করলে এর মাধ্যমে খুব সহজেই রং ও লেআউট পরিবর্তন করতে পারবেন। এছাড়া বামে আপনি ফন্টের রং ও সাইজ পরিবর্তন করার বোতাম পাবেন। সেগুলো দিয়ে মনের মত ফন্টের রং পরিবর্তন করুন।

ফাইল আপলোড : যদি আপনার কোন ফাইল যেমন: microsoft word কিংবা পিডিএফ ফাইল আপনার ওয়েবসাইটে রাখতে চান তবে আপলোডেড স্টাফ এর নিচে আপলোড বোতামটি ক্লিক করে আপনার সেই ফাইলটি আপনার কম্পিউটার থেকে গুগলের ওয়েব সাইটে আপলোড করুন। যদি ফাল্টি লিংক দিতে চান তবে সে পাতাটি লিংক বোতাম টি ক্লিক করে লিংক দিতে পারেন।

Google Web Page Create: গুগলের ওয়েব পেজ তৈরির বিস্তারিত জন্য গুগলের হেল্প অংশটি করতে পারেন, যা খুব সহজ ভাষায় লিখা আছে, http: //www. Google. Com/support/page ব্লগ ও ওয়েব পেজের মধ্যে পার্থক্য ব্লক মূলত অনলাইন ডায়েরি বা জার্নাল এর মত, সেখানে আপনি নিয়মিত আপনার কথা লিখতে পারেন। আর ওয়েব পেজ হল সাধারণত তথ্য সমৃদ্ধ অংশ।

যদি আপনি নিয়মিত পাঠকদের আপনার কথা পৌছাতে চান তবে ব্লগ ব্যবহার করুন। আর যদি বিশেষ কিছু সম্বন্ধে লিখতে চান তবে ওয়েব পেজ তৈরি করুন। ব্লগ তৈরীর জন্য www. Blogger.com ব্যবহার করতে পারেন যা গুগলের তৈরি একটি সিস্টেম। ব্লগার এর ক্ষেত্রে একইভাবে বাংলায় সরাসরি টাইপ করে বাংলা লিখতে পারেন।

বাংলায় ব্লগ তৈরির জন্য এটি পড়ুন। বাংলা ফ্রন্ট embed করা আসলে আপনি বাংলা টাইপ করে লিখলে পাঠকদের কম্পিউটারে বাংলা ফ্রন্ট না থাকলে দেখতে অসুবিধা হবে। তবে বর্তমানে Windows XP তে বাংলা সাপোর্ট করে তাই এক্স পি ব্যবহারকারীদের অসুবিধা হবে না।

তবে যদি আরো অনেক পাঠকদের কাজে আপনার বার্তা পৌছাতে চান যারা এক্সপি ব্যবহার করেনা, সেক্ষেত্রে বাংলা ফন্ট আপনার ওয়েব পেজ embed করতে পারেন। ফ্রন্ট এমবেড করবার জন্য মাইক্রোসফটের weft ব্যবহার করুন। তবে এটি শুধুমাত্র এক্সপার্টদের জন্য।

সহজ ভাষায় তা আমি তা পরবর্তীতে আমি লিখব। আপাতত আপনি গুগল দিয়ে ইংরেজি বা বাংলায় আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। বানানের ক্ষেত্রে ভুল ত্রুটি মার্জনীয়। কারো কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট সেকশনে অবশ্যই আমাকে জানাবেন আমি পরবর্তীতে সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ সবাইকে ধৈর্য সহকারে পোস্টটি পড়ার জন্য।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url