শিশুর অপুষ্টি দূর করার উপায় | নবজাতক শিশুর ওজন বৃদ্ধির উপায় ।

বাংলাদেশে এখন যে সমস্যাটি দেখা যায় শিশুর অপুষ্টি এবং ওজন বৃদ্ধির তাড়না। একজন শিশু জন্মের পর বা জন্মানোর আগেই নির্ণয় করে ফেলা হয় সেই শিশুটি তার মাতৃগর্ভে কি পজিশনে থাকে। বর্তমান বিশ্বে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অসম্ভব বলে আর কোন মানুষের কাছে কথা নেই। তাই বাচ্চা জন্মানোর পূর্বেই মায়ের গর্ভে বাচ্চার পজিশন কোন অবস্থায় থাকে এবং বাচ্চার স্বাস্থ্য শরীর সবগুলো নির্ণয় করে ফেলতে পারেন।
শিশুর অপুষ্টির লক্ষণশিশুর অপুষ্টির কারণঅপুষ্টি ও অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণপুষ্টি ও অপুষ্টির লক্ষণঅপুষ্টি শিশুর ছবিঅপুষ্টি প্রতিরোধের উপায়অপুষ্টির শারীরিক লক্ষণঅপুষ্টি ও অতিপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ সপ্তম শ্রেণীনবজাতকের ওজন বৃদ্ধির চার্টজন্মের সময় শিশুর ওজন কত হওয়া উচিত২ মাসের শিশুর ওজনবয়স অনুযায়ী বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিতশিশুর ওজন ও উচ্চতা বৃদ্ধির উপায়বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির ঔষধগর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির উপায়নবজাতকের ওজন চার্ট

আমি আজকে মূলত আপনাদের এই পোস্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিব বা আপনার পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত করলে বুঝতে পারবেন, বা আপনার শিশু যদি কজন বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে তাহলে আপনি কিছু পদক্ষেপের মাধ্যমেই আপনার শিশুর অপুষ্টি দূর করতে পারবেন এবং ওজন ও বৃদ্ধি করতে পারবেন। তো চলুন আমি আর অন্য কথা না বলে সরাসরি মূল আলোচনায় শুরু করতে যাচ্ছি।

পোষ্ট সুচিপত্রঃ

  • শিশুর অপুষ্টির লক্ষণ
  • শিশুর অপুষ্টির কারণ
  • অপুষ্টি প্রতিরোধের উপায়
  • বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির ঔষধ
  • নবজাতকের ওজন চার্ট

শিশুর অপুষ্টির লক্ষণ।

শিশুর অপুষ্টির লক্ষণ মূলত যেসব সিম্পটন বা অপসর্গগুলো লক্ষ্য করা যায়, আপনি হয়তো একটি শিশুকে দেখলেই বা তার ওজন দেখলেই বুঝতে পারবেন যে উনি অপুষ্ট রোগে ভুগতেছেন। এতে প্রতিটা বাবা-মাই হতাশ হয়ে থাকেন; কিভাবে তার সন্তানকে অপস্তির রোগ থেকে পরিত্রাণ করবে। আমি সেই বিষয়ে কিছু সমাধান আলোচনা চেষ্টা করছি আপনি চাইলে সে সব পদক্ষেপগুলো গ্রহণের মাধ্যমে আপনার শিশুকে অপুষ্টি এবং ওজন বৃদ্ধি বাড়িয়ে নিতে পারেন।

আরো পড়ুন,

সম্মানিত মা ও বোনেরা আপনার শিশুর অপুষ্টি যেসব লক্ষণগুলো থাকে বা উপসর্গগুলো থাকে আপনারা সহজে হয়তো বুঝতে পারবেন। আপনার শিশুর অপুষ্টির প্রধানত লক্ষণ হচ্ছে,
  • ক্লান্তি ও অবসাদ গ্রহণ করা
  • আপনার শিশু স্বাধীনতা খিটখেটে মেজাজ হতে পারে।
  • কোন কাজ বা পড়াশোনা নাই মনোযোগ হীনতা হারিয়ে ফেলবে।
  • শুষ্ক ও খসখুশে ত্বক অনেকটা সময় নরম-কমল তকো নষ্ট হয়ে যাবে।
  • অল্পতেই মাটির ব্যথা দাঁত ব্যথা এবং মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া ইত্যাদির ওকে আক্রান্ত হতে পারে।
  • আপনার শিশু অনেকটাই সময় খোদা মন্দায় ভুগতে পারে।
  • কম শারীরিক ও বৃদ্ধি বা একদমই বৃদ্ধি থেমে যেতে পারে।
  • অকারনেই পেট ফুলে যেতে পারে এবং ভবিষ্যতে মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

শিশুর অপুষ্টির কারণ।

শিশুরা পোস্টের কারণ মূলত খাদ্য প্রোটিন শতকরা এসব কারণেই ঘটে থাকে। আপনি যদি আপনার শিশুকে প্রতিনিয়ত বা প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ করে প্রোটিনযুক্ত ভিটামিন এবং শর্করা জাতীয় আমেজ ইত্যাদি খাবারে অভ্যস্ত করে রাখেন তাহলে আপনার ছেলেটি বা সন্তানটি রোগে ভুগবেনা। আপনার অপুষ্টি রোগটি দূর করার জন্য যেসব করণীয় তা আপনাকেই গ্রহণ করতে হবে।

শিশুর অপুষ্টির কারণ হতে পারে প্রধানত দুইটি পর্যায়ে; প্রথমত বলা যায় যে আপনি গর্ব অবস্থায় থাকাকালীন আপনার খাদ্য দ্রব্যাদি অপ্র্যাপতা হলে তা আপনার পেটের সন্তানদের প্রভাব ফেলবে। এ অবস্থায় আপনাকে যা করণীয় পেটে বাচ্চা থাকা অবস্থায় মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ইত্যাদি ভিটামিনযুক্ত খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। আপনার শিশুটি অপুষ্টি রোগ থেকে বা আসর থেকে আপনি পরিত্রান দিতে পারবেন।

আর একটু বিস্তারিত বলা যায় যে অপ্র্যাপ্ত সেবা ও বারবার সংক্রমনের প্রভাব এবং সেইসাথে শাকসবজি ফলমূল সহ যেসব ভিটামিন গুলো রয়েছে যেমন ডিম মাছ মাংস ইত্যাদি পুষ্টি প্রয়োজনীয় সময় অপ্রয়োজনীয়তা গ্রহণ করাটাই হচ্ছে অপ্রৃষ্টির লক্ষণ। যা যা কিনা আপনার শিশুকে দীর্ঘদিন অপুষ্টি রোগে ভুগতে হতে পারে এবং এটি বৃদ্ধি ও বিকাশের বাধা গ্রস্থ করার মাধ্যমে মানুষকে প্রতিবন্ধী দিকে ঠেলে দিতে পারে।

অপুষ্টি প্রতিরোধের উপায়।

আপনার শিশুর অপুষ্টির প্রতিরোধে উপায়ে আপনাকে কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আমি পদক্ষেপ গুলো কি কি হতে পারে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি, চলুন জেনে নেওয়া যাক অপুষ্টি প্রতিরোধের উপায় গুলো কি কি হতে পারে।

আপনার শিশুকে অপুষ্টি প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং কিছুক্ষণ পরপরই তা খাদ্য গ্রহণের উৎসাহ করা।
  • অপুষ্টি দূর করার জন্য বা শরীরবৃদ্ধির জন্য নিয়মিত শরীর চর্চা করতে হবে।
  • শিশুর অপুষ্টি এবং ওজন বৃদ্ধির জন্য শাকসবজি ফল বেশি করে খেতে হবে এবং সময়মতো পানি পান করতে হবে।
  • শিশুর অপুষ্টি এবং ওজন বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো অত্যন্ত জরুরী।
  • শিশুর অপুষ্টি পূরণ এবং ওজন বৃদ্ধির জন্য ডিম দেয় ইত্যাদি বেশি করে খেতে দিতে হবে।
  • শিশুর অপুষ্টি পূরণ এবং বৃদ্ধি ওজনের জন্য আরও যেসব পদক্ষেপ গুলো গ্রহণ করতে হবে বাইরের খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।
  • খাদ্য পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট,, প্রোটি ন ফ্যাট, ভিটামিন এবং মিনারেল থাকতে পারে সেসব জাতীয় খাবার খেতে হবে।

বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির ঔষধ।

সম্মানিত মা ও বোনেরা শিশুর উপস্থিতুর এবং ওজন বৃদ্ধির জন্য আজকাল চিকিৎসার অভাব নেই আপনি চাইলে কোন শিশু বিশেষজ্ঞ দ্বারা ওষুধ ক্রয় করে আপনার শিশুকে অপুষ্টি দূর করার জন্য এবং ওজন বৃদ্ধি করার জন্য সেবন করাতে পারেন। এছাড়াও আপনি ঘরে বসে আপনার বাসাতে আপনার শিশুকে কিভাবে অপুষ্টি দূর করবেন এবং শেষ আছে শিশুর ওজন বৃদ্ধি করবেন কিভাবে সেই কলা কৌশল গুলো ফলো করতে পারেন।

গর্ভ অবস্থায় পুষ্টিঃ- আপনি চাইলে ক্রমাগত তাজা পুষ্টিকর খাবার খেতে পারেন। কারণ শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ অনেকটাই নির্ভর করে গর্ব অবস্থায় থাকায় কতটুকু পুষ্টি পায় তার উপর। যেসব মায়েরা গর্ব অবস্থায় পুষ্টিকর খাবার খান তারা সাধারণত ভালো ওজনের সুস্থ এবং সকল বাচ্চা প্রসব করে থাকেন।

গর্ব অবস্থায় মায়ের স্বাস্থ্য কর পরিবেশঃ- প্রতিটি মাকে তার গর্ভ অবস্থা সময় বা প্রেগনেন্সির সময় তাকে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে এবং সতর্কতার সাথে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে হবে। খাওয়ার ব্যাপারে গল্প মহিলাদের স্বাস্থ্যের খুব যত্ন নিতে হবে।

চাহিদা অনুযায়ী খাবার খাওয়ানোঃ- আপনার শিশুকে যথেষ্ট চাহিদা অনুযায়ী সাধারণত দিনের প্রতি দুই থেকে পাঁচ ঘন্টা একবার খাওয়ানো উচিত। যেহেতু প্রত্যেকটি শিশু আলাদা তাই তাদের দিনে কতটা দুধ খাওয়াতে হবে তা অনুমান করা অসম্ভব। আপনি চাইলেই বাবা-মা তাদের শিশু দ্রুত ওজন বাড়ানোর জন্যই নিশ্চিত করতে তাদের ক্ষেত্রে চাহিদা অনুযায়ী শিশুকে খাওয়ানোর একটি ভালো বিকল্প খুঁজে নিতে পারেন।

নবজাতকের ওজন চার্ট।

জন্মের পর পরই নবজাতকের ওজন কতটুকু হবে কতটুকু নরমাল ডেলিভারি হবে সে বিষয়ে অনেকেই হত্যাযজ্ঞ হবেন। নিচে চারটির মাধ্যমে আপনি আপনার শিশুর স্বাভাবিক ওজন আপনি নির্ণয় করতে পারবেন।


পরিশেষে বলা যায়, আপনি আপনার শিশুকে অপুষ্টি রোগ থেকে দূর করার জন্য এবং শিশুর সঠিক বৃদ্ধির জন্য, যেসব পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে হবে, আমি সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরেছি। অবশ্যই আপনি পোস্টটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন। আপনি যদি পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন্। এরকম আরো শিশু বিষয় পোস্ট পাওয়ার জন্য, সেই প্রত্যাশায় আছে ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url