শিশু খাদ্য তালিকা | ৬ মাসের শিশুর খাবার তালিকা।

আসসালামু য়ালাইকুম, সম্মানিত মা ও বোনেরা যাদের প্রথম বেবি হয় বা দ্বিতীয় বেবি হয়েছে তারা পর্যাপ্ত পরিমাণে শিশুকে খাবার দিতে পারছেন না। এ অবস্থায় শিশু জন্মের পর থেকে ছয় মাস পর্যন্ত কি খাওয়াবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। আপনার সন্তান জন্মের পর থেকে কত ঘন্টা পর খাবে, কি খাবে, ইত্যাদি কথা আপনার মনের মধ্যে ঘুরপাক খেতেই থাকে।
নবজাতকের নিত্যদিনেরখাবার তালিকা গুলো কিএবং ছয় মাসের শিশুরখাবার কি জেনে নিনক্যালরির হিসাব-নিকাশনিত্যদিনের খাবারখাবারের নানা ধরনতরল খাবার আবশ্যক৬ মাস শিশুর খাদ্য তালিকাবয়স+অনুযায়ী+শিশুর+খাবার+তালিকা৫ মাসের শিশুর খাবার তালিকা৪ বছরের শিশুর খাবার তালিকা৮ মাসের শিশুর খাবার তালিকা৪ মাসের শিশুর খাবার তালিকাশিশুকে ফল খাওয়ার নিয়ম৬ মাসের শিশুর বিকাশ

প্রতিটি মা চাই তার সন্তানকে সুন্দরভাবে লালন পালন করতে। সে জন্মের সময় ভাবে যে তার শিশুটি যাতে উপযুক্ত খাবার পায় সে দিকটাও কেউ না ভাবলে মা ঠিকই ভাবেন। তাই একটি বাচ্চাকে জন্মের পর থেকে ছয় পর্যন্ত কি খাওয়াবেন সে সম্পর্কে আমি বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। চলুন আমরা জেনে নেই শিশুর খাবারগুলো কি কি হতে পারে।

পোষ্টসুচিপত্রঃ

  • ক্যালরির হিসাব-নিকাশ।
  • নিত্যদিনের খাবার।
  • খাবারের নানা ধরন।
  • তরল খাবার আবশ্যক।
প্রথম কথাই বলতে গেলে শূন্য থেকে ছয় মাস বয়সী শিশুর খাবার জন্মের সাথে সাথে এক ঘন্টার মধ্যে শাল দুধ অর্থাৎ মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। কেননা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য জানা গেছে শিশু জন্মের পর তার মায়ের দুধের বিকল্প কিছু হতে পারে না। তাই একটি শিশুর প্রতিষেধক টিকা হিসাবে খাওয়ানো অত্যন্ত জরুরী। বিশেষ করে ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত। এমন কি এক ফোঁটা পানিও মুখে দেওয়া যাবে না।

ক্যালরির হিসাব-নিকাশঃ

শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি বা মানসিক বৃদ্ধির জন্য প্রতিনিয়ত কিলো ক্যালরি চাহিদা ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে। আমি শূন্য থেকে শুধু ছয় মাস না শূন্য থেকে দুই বছর পর্যন্ত শিশুরই দরকার তা বিস্তারিত আলোচনা করলাম। জন্মের পর থেকে প্রতিটি শিশুর বাচ্চার জন্য মায়ের দুধের বিকল্প নেই।
আরো পড়ুন,

কোন সময় নির্ধারণের দরকার হয় না এবং ক্ষুধা লাগলে মা এমনিতেই বুঝতে পারে যে তার বাচ্চাকে এখন খাবার দিতে হবে। শূন্য থেকে সাধারণত তিন মাস বয়সের বাচ্চাদের যে ক্যালরি প্রয়োজন তা আলোচিত হলোঃ
  • ০ থেকে ৩ মাস বয়স পর্যন্ত ১২০ গ্রাম।
  • ৩ থেকে ৬ মাস বয়স পর্যন্ত ১১৫ গ্রাম।
  • ৬ থেকে ৯ মাস বয়স পর্যন্ত ১১০ গ্রাম।
  • ৯ থেকে ১২ মাস বয়স পর্যন্ত ১০৫ গ্রাম।
উপরে উল্লেখিত পরিমাণ অনুযায়ী আপনি আপনার শিশুকে ক্যালোরি হিসাব করে খাওয়াতে পারেন।

নিত্যদিনের খাবারঃ

নবজাতক থেকে ছয় মাস পর্যন্ত বা দুই বছর সহ বয়স পর্যন্ত শিশুদের দৈহিক ও মানসিক সুস্থ বিকাশের জন্য মায়ের বুকের দুধ অন্যতম কে পালন করে থাকে। বিশেষ করে সন্তান প্রসবের পর প্রথম যে হলুদ বর্ণের সাল দুধ রয়েছে তা নবজাতকের জন্য প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও অন্যান্য পুষ্টিকর সরবরাহের জন্য বিশেষভাবে দায়ী।

কিন্তু অধিকাংশই মা তা নবজাতকের জন্য তা ক্ষতিকর আশঙ্কা করে এবং কুশাং বিশ্বাসে বিশ্বাসী হয়ে ফলে যা একদম উচিত নয় বরং শিশুর জন্য পাওয়াটাই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়ে যাবে। প্রতিটি শিশু জন্ম হওয়ার পর থেকে ছয় মাস পর্যন্ত, তার মায়ের বুকের দুধ ছাড়া।

অন্য কোন ধরনের খাবার যেমন পানীয় গরু-ছাগলের দুধ, প্রক্রিয়াজাতকরণ দুধ, পান করানো থেকে বিরত থাকতে হবে কেননা শিশুকে বুকের দুধ পান করানো ফলে মাত্র স্বাস্থ্যের বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার অনেকটাই কমে যায়। তবে শিশু যদি যথাযথভাবে মায়ের দুধ না পেয়ে থাকে তবে একজন শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে বা পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে যাতে শিশুটি র পর্যাপ্ত পরিমাণের খাবার। খেতে পারে

খাবারের নানা ধরনঃ

এ পর্যায়ে শিশুর জন্মের পর থেকে যে বিভিন্ন ধরনের খাবার রয়েছে সেই খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। করা হলোঃ
  •  ৬ থেকে ৯ মাস বয়সী শিশুদের জন্য একটি নমুনা ডায়েট চার্ট হতে পারে।
  • সকালের দিকে বুকের দুধ বা ফর্মুলা ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • বিকেলে হালকা খাবারেও বুকের দুধ বা ফলমূল দেওয়া যেতে পারে।
  • রাতের খাবারের জন্য পুনরাবৃত্ত করা যেতে পারে বিশেষ করে হালকা দুপুরের খাবার গুলো।
  • যদি আপনার শিশুর শেয়ার ঠিক আগে খিদে পায় তাহলে সে ক্ষেত্রে বুকে দুধ বা ফলমূল আবারও খাওয়ানো যেতে পারে তাতে কোন ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
শিশুর খাবারের জন্য সামান্য পরিমাণে ভালোভাবে রান্না করা ভাত ও, মুরগির মাংস এবং বুকের দুধ বা ফর্মুলা সঙ্গে দেওয়া যেতে পারে।শিশুদের জন্য তৈরি খাদ্য তালিকায় স্নাক হিসেবে ট্রাকার বা ছোট চিজ কিউব গুলি দিয়ে শুরু করতে পারেন।

তরল খাবার আবশ্যকঃ

নবজাতক কে তরল খাবার খাওয়ানোর জন্য বা শিশুর খাদ্য তালিকায় আপনি প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের একটি বড় উৎসব বিভিন্ন খাবার যেমন,, দুধ, পানি দই ইত্যাদি খাবারগুলো দিতে পারেন। এগুলো শিশুর জন্য আদর্শ স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়। শিশুদের নিয়মিত দুধের তৈরি খাবার খেতে উৎসাহ করা উচিত।

কেননা এর মধ্যে তরল দুধ কয়েক টুকরো প্রাণী বা এক পার্টির দই থাকতে পারে। এর জন্য আপনার শিশুকে প্রতিনিয়ত অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি তরল প্রোটিন খাবার গুলো শিশু খাবারের তালিকায় যোগ করে নিতে পারেন।

শেষ কথাঃ সম্মানিত মা ও বোনেরা আপনারা ছোট থেকেই বাচ্চাদের নিয়মিত খাবার প্রদান করলে। তাদের দৈহিক গঠনে এবং মানসিক প্রশস্ত গঠনে, বিভিন্ন যে সমস্যা হয়ে থাকে। পুষ্টিকর খাদ্য এবং মায়ের বুকের দুধ অভ্র্যাপ্ত-পরিমাণ না পাওয়ার কারণে সংঘটিত হয়ে থাকে।

তাই আমি এই পোষ্টের মাধ্যমে শূন্য থেকে ছয় মাস পর্যন্ত বাচ্চাকে কি কি খাবার খাওয়াবেন। এবং কোনগুলো খাবার অত্যন্ত জরুরী বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আপনাদের পোস্টে পড়ে যদি ভালো লেগে থাকে বা উপকৃত হয়ে থাকেন।

তাহলে অবশ্যই আমাকে লাইক কমেন্ট করে জানাবেন আরও এরকম বাচ্চাদের নিয়ে নতুন একটা পোস্ট লিখে আপনাদের সামনে আর আমরা হাজির হব সে প্রত্যাশা ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url