কলা চাষের আধুনিক পদ্ধতি | কলা গাছের রোগ ও তার প্রতিকার ।

সালামুআলাইকুম সম্মানিত কৃষক ভাই ও বোনেরা আপনারা আজকে আবার এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন যে কিভাবে বৈজ্ঞানিক বা বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে কলার চার্জ করে লাভবান হওয়া যায়। সেজন্য অনুরোধ থাকবে আপনারা এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বে তাহলে বুঝতে পারবেন কলা চাষে করনীয় কি এবং রোগ বালাই দমনে করণীয় কি।
কলা মোটা করার পদ্ধতিকলা চাষ পদ্ধতি pdfকলা গাছের চারা তৈরিসাগর কলা চাষ পদ্ধতিকলা গাছের কীটনাশককলার চারার নির্বাচন কৌশল ব্যাখ্যা করকলার চারার বৈশিষ্ট্যকলা কত দিনেকলা গাছের সিগাটোকা রোগের প্রতিকারকলার ছত্রাকজনিত রোগ কি কিকলা গাছের গোড়া ফাটা রোগকলা গাছের কীটনাশককলা গাছের রোগের নামকলার সিগাটোকা রোগকলার রোগ ও পোকাকলা গাছের পাতা পোড়া রোগ পাকে

সম্মানিত কলা চাষী ভাই ও বোনেরা, এই মুহূর্তে আপনারা ভাবছেন হয়তো কলা চাষ করবেন কিন্তু কি উপায় করবেন কিভাবে করবেন কতটুকু সার দিবেন, করণীয় কি? এর রোগ বালাই ও প্রতিকার গুলো কি কি হতে জানেন না। চলুন আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে আজকে জেনে নেব, যে কলা চাষ করতে গেলে করণীয় কি কি এবং কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

সুচিপত্রঃ

  • নিচু জমিতে কলা চাষ।
  • কলা বাগানে সার দেওয়ার নিয়ম।
  • কলা গাছের রোগ ও তার প্রতিকার।
  • কলার ছত্রাকজনিত রোগ কি কি?
  • কলা গাছের কীটনাশক।
  • কলা চাষের ভেষজ গুণাবলী।
পাকা কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং কলার থোড় বা মুচা ডায়াবেটিস, স আমাশয়, আলসার নিরাময় ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। খরা চাষ ে বিশেষ করে শুধু লাভজনক উদ্দেশ্য নয় এই কলার বিভিন্ন গুণাবলী রয়েছে যা ওষুধ হিসেবে মানুষের দৈনন্দিন কাজে লাগে। কলা একটি ভিটামিন লোহ জাতীয় ফল।

নিচু জমিতে কলা চাষ।

কলা চাষের ক্ষেত্রে উর্বর দোয়শ মাটি ও পানি জমে না থাকে এমন উঁচু জমি নির্বাচন করতে হবে। খোলা চাষের জন্য আপনাকে প্রথমেই মাটিটি নির্বাচন করতে হবে। কেননা সব মাটিতে কিন্তু কলা চাষ সুফল হয় না এক্ষেত্রে কলা চাষের জন্য দোয়া মাটিতেই সবচাইতে উত্তম। এবং যেই স্থানে বা যেই মাটিতে পানি জমে না থাকে সেই জমিটি কলা চাষের জন্য খুবই ভালো।

আরো পড়ুন,

কলার জাত পরিচিতি।

বাংলাদেশে বেশ কয়েক জাতের কলা চাষ করা হয়ে থাকে এর মধ্যে বিশেষ কিছু জাতগুলো রয়েছে যেমন অমৃত সাগর, চম্পা, চিনি চম্পা, সবরি, বারি কলা ১ ও বারি কলা ৪। উপরে যে কয়েকটি কলার জাত উল্লেখ করা হয়েছে সচরাচর সেসব জাতগুলো চাষে কৃষক অনেকটাই লাভবান হয়ে থাকে।

তাছাড়া দেশে বর্তমানে এখন অনেক প্রজাতির কলা চাষ হয়ে থাকে। এর মধ্যে উপরে যেসব নামগুলো উল্লেখ করা হয়েছে সেসব কলার জাত গুলো অনেকটাই লাভজনক।

কলা বাগানে সার দেওয়ার নিয়ম।

কলার চাষের জন্য প্রতি গর্তে গোবর ২০ কেজি, টি এস পি স্যার ৪০০ গ্রাম, এমওপি ৩০০ গ্রাম, প্রয়োগ করতে হবে। স্যারের ৫০ ভাগ গোবর জমি তৈরির সময় এবং বাকি ৫০ ভাগ গড়তে প্রয়োগ করতে হবে।

কলা চাষে উপযুক্ত সার প্রয়োগের মাধ্যমে কলার বংশবৃদ্ধিও হয়ে থাকে। বিশেষ করে সঠিক সময়ে সঠিক পরিচর্যা ক্ষেত্রে কলার তোর বা গাতি অনেকটাই বড় হয়ে থাকে। এতে কৃষক বা কলা খামারি অনেকটাই লাভবান হয়ে থাকেন।

সেচ ও আগাছা দমন ব্যবস্থাপনা।

চারা রোপনের পর মাটিতে পর্যাপ্ত রচনা থাকলে এবং শুকনো মৌসুমে ১৫ থেকে ২০ দিন পর পর শেষ দিতে হবে। তাছাড়া গাছের গোড়া ও নালার আগাছা সবসময় পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। মোচা আসার আগ পর্যন্ত গাছের গোড়ায় কোন তৈরির রাখা উচিত নয় বা ছোট বাচ্চা গাছ রাখা উচিত নয়।

কলা গাছের রোগ ও তার প্রতিকার।

এ পর্যায়ে আমরা জানব কলা গাছের রোগ ও তার প্রতিকার এগুলো কি কি। কিভাবে আমরা কলা গাছের রোগ নির্ণয় করব এবং তার প্রতিকার। করব কিভাবে।

কলার ছত্রাকজনিত রোগ কি কি?

এটি একটি ছত্রাক জাতীয় রোগ যা প্রাথমিকভাবে বসন্ত পাতা কিনারা হলুদ হয়ে যায় এবং পরে কচি পাতাও হলুদ রং ধারণ করে।পরবর্তীতে পাতার গোটা কাছে ভেঙে গাছে চারদিকে ঝুলে থাকে এবং মরে যায়। উপরিউক্ত ছত্রাকের হাত থেকে কলার গাছকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে কৃষকের অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। কেননা কলার বিশেষ একটি রোগ ছত্রাক বা পাতা পচা কিনারা বা কলার বিভিন্ন দাগ এসব জাতীয় রোগ হয়ে থাকে। নিচে কিছু প্রতিকার ও রোগের নাম উল্লেখ করা হলো।

প্রতিকার সমূহঃ- আক্রান্ত গাছ ঘোরা সহ উঠে ফেলা উচিত এবং আক্রান্ত গাছের ছোট চারা হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।

কলার সিগা টোকা রোগঃ- এ রোগের আক্রমণে প্রাথমিকভাবে তৃতীয় বা চতুর্থ পাতায় ছোট ছোট হলুদ দাগ দেখা যায়। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে দাগগুলো বড় আকার ধারণ করে যার রং বাদামী রং হয়ে থাকে।

কলার পাতা ও ফলের বিটল পোকাঃ- কলার পাতা ও ফলে বিটল পোকা কচি পাতায় হাটাহাটি করে এবং সবুজ অংশ নষ্ট করে ফেলে। ফলে সেখানে অসংখ্য দাগের সৃষ্টি হয়।

প্রতিকারঃ- আক্রান্ত মাঠে বারবার কলা চাষ করা যাবে না এবং কলার মোচা বের হওয়ার সময় করা যেতে পারে।
কলা গাছের কীটনাশক ।
আক্রমণ বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম ৭ ও ৮৫ wc মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর দুইবার গাছের পাতার উপরে ছিটাতে হবে। তাছাড়া কলার বিভিন্ন রোগবালয়ের জন্য বিভিন্ন প্রকারের ওষুধ স্প্রে করলে কলার ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে পারে।

সম্মানিত কৃষক ভাইয়েরা আপনারা কলা চাষে কতটুকু আগ্রহী এবং আমার এই পোস্ট পড়ে আপনারা কতটুকু খালা চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তা অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আপনারা কমেন্টের মাধ্যমে জানালে আমরা আরও আপনাদের জন্য অন্য কোন ফল সম্পর্কে লিখার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকি।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url