কোয়েল পাখি পালন ও চিকিৎসা | কোয়েল পাখি পালন প্রশিক্ষণ ।

আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত পশুপাখি পালন এবং কোয়েল পাখি কবুতর পাখি পালন কৃত ভাই ও বোনেরা আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি কন্টেন্ট বা পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি যা কিনা কোয়েল পাখি চাষ সম্পর্কে যারা আগ্রহী তাদের উদ্দেশ্যে আমার এই পোস্টটি লিখা। আপনারা অনেকেই পশু পাখি পালন করে থাকেন তবে কেউ ব্যবসায়িক কাজের জন্য আবার কেউ শখের বসে।
কোয়েল পাখির রোগ ও চিকিৎসাখাচায় কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতিকোয়েল পাখি কত বছর বাঁচেকোয়েল পাখির ভ্যাকসিনকোয়েল পাখি ডিম না দেয়ার কারণকোয়েল পাখি কত দিনে ডিম পারেকোয়েল পাখির ডিম পাড়ার ঔষধকোয়েল পাখির ডিম পাড়ার লক্ষণকোয়েল পাখি কত বছর বাঁচেকোয়েল পাখির ডিম পাড়ার লক্ষণকোয়েল পাখির খাবারকোয়েল পাখি ডিম না দেয়ার কারণকোয়েল পাখি কি উড়তে পারেসাদা কোয়েল পাখিকোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতাকোয়েল পাখির দামগোল্ডেন ৮ পেয়ারা চাষ | পেয়ারা গাছের রোগ ও প্রতিকার ।কিভাবে থাই পেয়ারা চাষকরে অল্প সমেয়ে লাভবানহওয়া যায় এবং পেয়ারারগাছের রোগ ও তার প্রতিকারজানতে পোষ্টটি পড়ুন
আমি তাদের দুই দিক থেকেই বলবো যারা শখের বসে পাখি পালন করেন বা ব্যবসায়িক কাজে জন্য পাখি পালন করে থাকেন তারা অবশ্যই আমার এই পোস্টটিকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন। কেননা এই পোস্টটিতে কোয়েল পাখি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

আরো পড়ুন

যারা কোয়েল পাখি চাষে আগ্রহী তারা অবশ্যই আমারে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন। কারণ এই পোস্টটিতে কোয়েল পাখি কিভাবে চাষ করবেন বা পোস্ট পোষাবেন তার খাদ্য প্রক্রিয়া বাসস্থান চিকিৎসা ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনা করা যায়।

বিশেষ করে পোল্ট্রি তে মোট ১১ টি প্রজাতি রয়েছে তার মধ্যে কোয়েল একটি ছোট আকারে গ্রহ-পালিত পশু পাখি। অন্যান্য গৃহপালিত পশুপাখির তুলনায় কোয়েল পাখি ডিম এবং মাংস উৎপাদনে দেশ ভূমিকা পালন করে থাকে। মোটামুটি অনুভূতি হারে কোয়েল পাখির ডিমের কোলেস্টরেলের মাত্রা অনেকটাই কম এবং আমিষ বেশি থাকে।

একটি মুরগির পরিবর্তিতে আটটি কোয়েল পাখি পালন করা সম্ভব কেননা এটি অল্প পরিসর জায়গাতেই পালন করা যায়। কাজে ক্ষেত্রে কোন একটি জায়গায় যেকোনো একটি জায়গায় সহজেই কোয়েল পাখি পালন করা যায়। কোয়েল পাখি পালন করে বারে বারে পুষ্টি যোগানের সহায়তা করা হয়ে থাকে বা সংসার অনেকটাই উন্নত জীবন যাপনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখে। 

বিশেষ করে অল্প জায়গা অল্প খাদ্য অল্প পরিশ্রমেই এই পাখি পালন করা হয় বিধায় এটি খুবই সহজলভ্য এবং ব্যবসায়িক সাফল্যজনক একটি ব্যবসা বলা যেতে পারে।

কোয়েল পাখি পালনের সুবিধা।

  • কোয়েল পাখির দ্রুত বাড়ে যা ছয় থেকে সাত সপ্তাহ পরে ডিম দিতে শুরু করে এবং বছরে ২৬০ টি থেকে ২ ৭০ টি পর্যন্ত ডিম দিয়ে থাকে।
  • বিশেষ করে সাত থেকে আটটি কোয়েল পাখি একটু মুরগি যে জায়গাটুকু নেই ঠিক সে জায়গাটুকুতেই পালন করা সম্ভব এবং আঠারো থেকে বিশ দিনের মধ্যে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে সময় লাগে।
  • বাংলাদেশের আবহাওয়া কোয়েল পাখি পালনের জন্য উপযোগী বলে ধরা হয়েছে।
  • অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে এ ব্যবসা করা যায়।

কোয়েল পাখির জাত পরিচিতি।

বর্তমানে পৃথিবীতে ১৮ থেকে বৃষ্টি জাতের কোয়েল পাখি রয়েছে এর মধ্যে পোলটির মতো এয়ার মাংসও এবং ডিম উৎপাদনের জন্য পৃথক পৃথকভাবে কোয়েল পাখি আলাদা করা হয়েছে। বাংলাদেশে চাষযোগ্য কোয়েল পাখির মধ্যে বিশেষ করে জাপানি চাইনিজ কয়েল অন্যতম। এই জাতের কোয়েল পাখির বিশেষ করে মাংস উৎপাদন বেশি করে থাকে তাই এটি চাষ করা খুবই সহজ এবং অল্প পুজিতে চাষ করা যায়।

কোয়েল পাখির প্রজনন ক্ষমতা।

অন্যান্য গৃহপালিত পশু পাখির মতোই কোয়েল পাখির প্রজনন ক্ষমতা হয়ে থাকে। বিশ্বাস করে কোয়েল পাখির ডিম উৎপাদনের সময় স্ত্রী এবং পুরুষ উভয়কে একত্রে রেখে ডিম উৎপাদন করা সম্ভব হয়। পুরুষ কোয়েল পাখির তুলনায় স্ত্রী কোয়েল পাখি অনেকটাই লাভ জানো? কেননা স্ত্রী কোয়েল পাখি থেকে ডিম ও মাংস দুটোই পাওয়া যায়। বিশেষ করে টিম উৎপাদনের ক্ষেত্রে তিনটি স্ত্রী কোয়েল পাখির সাথে কোয়েল পাখি রাখা উচিত।

স্ত্রী কোয়েল পাখি থেকে পুরুষ কয়েল পাখি আলাদা করার পর তৃতীয় দিন পর্যন্ত ডিম ফুটানোর জন্য সংগ্রহ করা যেতে পারে। কোয়েলের জন্য ছয় থেকে সাত সপ্তাহ বয়সী ডিম পাড়া শুরু করে এবং 10 থেকে 12 মাস পর্যন্ত ডিম দেয়। উল্লেখ্য বিষয় যে উপযুক্ত পরিবেশে প্রায় বছরেই গড়ে ২৫০ থেকে ৩৫০ টি পর্যন্ত ডিম দিতে পারে। দ্বিতীয় বছরেও ডিমের উৎপাদন প্রথম বছরে তুলনা একটু কম হয়ে থাকে। কোয়েল পাখির ডিমে ৮৩ থেকে ৯০ ভাগ শতকরা বিদ্যমান রয়েছে।

কোয়েল পাখির ডিম এর ওজন প্রায় ১২ থেকে ১৩ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে কেননা কোয়েল পাখির বাচ্চার বোর্ডিং এবং সদ্য ফুটন্ত বাচ্চা খুবই ছোট হয়ে থাকে তাই এর ওজন মাত্র পাঁচ থেকে সাত গ্রাম হয়। এ সময় যেকোন রকম ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থাপনার প্রভাব স্বাভাবিক দৈহিক বৃদ্ধি ডিম উৎপাদন এবং বেঁচে থাকার উপর নির্ভর করে।

এমত অবস্থায় খাদ্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিমান এবং ক্ষম তাপমাত্রা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে বজায় রাখতে হবে। বাচ্চাকে ব্রুডিং বা চাপ দেওয়ায় লিটার করা যায় ।

বাচ্চার বয়স তাপমাত্রার বাচ্চার বয়স তাপমাত্রা সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো
  • বিশেষ করে প্রথম সপ্তাহ যেমন ৩৬০ ডিগ্রি ।
  • দ্বিতীয় সপ্তাহে ৩২ সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা।
  • তৃতীয় সপ্তাহ ২৯ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা।
  • চতুর্থ সপ্তাহে ২৭ সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা।
ইনকিউবেটরের বাচ্চা ফুটানো ২৪ ঘন্টার মধ্যে রুটিন করে এনে প্রথমে এমোভিট ডব্লিউ এস পানির সঙ্গে পরপর তিনদিন খেতে দেওয়া যেতে পারে এরপর খাদ্য দিতে হবে। প্রতিদিন খবরের কাগজের পরিবর্তন করতে হবে কেননা এই খবরের কাগজে মূল মধ্য ত্যাগ করে ভাইরাস ছড়াতে পারে তাই প্রত্যেক দিনই। রুটিনের কাগজ পরিবর্তন করতে হবে

এক সপ্তাহ পর ছোট খাবার পাত্র এবং পানিপাত্র ব্যবহার করতে হবে বিশেষ করে উল্লেখ্য রাখতে হবে যে পানির পাত্রে বাচ্চা যাতে করে না মারা যায় সেজন্য মার্বেল অথবা কয়েক টুকরো পাথর খন্ড পানির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। এর পরে শনিবার খাবারের পাত্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

কোয়েল পাখির বাসস্থান।

কোয়েল পাখি বাণিজ্যিকভাবে পালনের জন্য গিটার পদ্ধতি চেয়ে কেজ পালন পদ্ধতি বেশি লাভজনক হয়। কোয়েল পাখি বাচ্চা থাকা অবস্থায় প্রত্যেকটির জন্য খাঁচার ৭৫ বর্গ সেন্টিমিটার জায়গার প্রয়োজন হয়ে থাকে। অন্যদিকে বয়স্কোপ কোয়েল পাখির জন্য খাঁচার প্রতিটির জন্য ১৫০ বর্গ সেন্টিমিটার এবং মেঝেতে ২৫০ বর্গ সেন্টিমিটার জায়গা দেওয়া ভালো। 

কোয়েলের ঘরে সব তো আলো বাতাসের ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং তাপমাত্রা ৫০ থেকে ৭০ হওয়া উচিত। স্ত্রী এবং। পুরুষ কোয়েল পাখিকে যত সম্ভব তাড়াতাড়ি পৃথক পৃথকভাবে রাখতে হবে ।

খাচাই কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি।

বাণিজ্যিক ভাবেই খাচায় কোয়েল পাখি পালন করার জন্য প্রতিটি খাঁচায় ৫০ টি বয়স্ক কোয়েলের জন্য ১২০ সেন্টি মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৬০ সেন্টিমিটার প্রস্থ যা ৩০ সেন্টিমিটার উচ্চতা বিশিষ্ট খাঁচার প্রয়োজন পড়ে। খাঁচার মেঝে জালিটি হবে ১৬ থেকে ১৮ ও তিন সপ্তাহ পর্যন্ত বাচ্চার খাঁচার মেঝে যাদের ফাঁক হতে হবে যেমন তিন মিলিমিটার গুণিত তিন মিলিমিটার।

খাবারের ২% এর দিকে খাবার পত্র অন্যদিকে পানির পাত্র সংযুক্ত করে দিতে হবে। খাচায় ৫০ টি কোয়েলের জন্য তিন সপ্তাহের বয়স্ক পর্যন্ত ২৫ সেন্টিমিটার বা ১০ ইঞ্চি উচ্চতা বিশিষ্ট ২৮ সেন্টিমোর মিটার বা তিন বর্গফুট জায়গা দিতে হবে।

খাদ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি।

কোয়েল পাখির বাচ্চা বাড়ন্ত অথবা প্রজনন কাজে ব্যবহৃত কয়েলের জন্য বাজারে সহজ দ্রব্য মরলে পাওয়া যায় না। কোয়েলের রেশনকে তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারে অর্থাৎ স্ট্যাটাস বাড়ন্ত এবং লেয়ার বা রিডার। ডিম পাড়া কোয়েল এর প্রতি কেজি খাবারে ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম ক্যালসিয়াম থাকতে হবে কেননা ডিমের উৎপাদনের ধরে রাখার জন্য গরমের সময় তিল পার্সেন্ট ক্যালসিয়াম প্রয়োজন হয়ে থাকে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url