ত্বক ও চুলের যত্নে এলোভেরা | এলোভেরা খাওয়ার নিয়ম | অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা ।

অ্যালোভেরা উজ্জ্বল ত্বকঃ- অ্যালোভেরার গুনাগুনের মধ্যেই যেসব উপাদান গুলো রয়েছে নিচে আলোচনা করা হলো।
এলোভেরা ও লেবু দিয়ে চুলের যত্নচুলের যত্নে অ্যালোভেরা প্যাকছেলেদের চুলের যত্নে এলোভেরাঅ্যালোভেরা চুলে কিভাবে ব্যবহার করবত্বকের যত্নে এলোভেরাচুলের যত্নে ডিম ও অ্যালোভেরাচুলের যত্নে এলোভেরা ব্যবহাররাতে এলোভেরা ব্যবহারঘৃতকুমারীর অপকারিতাচুলের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতাঅ্যালোভেরা মুখে মাখলে কি হয়ত্বকে অ্যালোভেরার উপকারিতাখালি পেটে এলোভেরা খেলে কি হয়মুখের জন্য এলোভেরার উপকারিতাএলোভেরা জেল ব্যবহারের নিয়ম

আপনার কি ড্রাই স্কিন? তাহলে এই ফেস মাস্কটি আপনার জন্য একেবারে পারফেক্ট কারণ এলোভেরা অ্যান্টি অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ, যা ব্রণ এবং চুলকানি কমায়। এখানেই শেষ নয়, এই প্রাকৃতিক উপাদানটি লাগালে স্কিন আদ্র হয়। ফলে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়।

লেবু ও অ্যালোভেরা।

কিভাবে বানাতে হবে এই ফেস মাস্কটি? এটি বানানো খুব সহজ! পরিমাণ মতো এলোভেরা জেল নিয়ে তাতে এই ড্রপ লেবুর রস দিয়ে ভালো করে দুটি উপাদান মেসান। তারপর তা মুখে লাগিয়ে কম করে হলেও ২০ মিনিট রেখে দিন, তারপরে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখটা ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।

অ্যালোভেরা ও হলুদ এর গুনাগুন।

দুধ ,হলুদ এবং এলোভেরা জেল মিশিয়ে বানানো এ ফেইস মাস্কটি উজ্জ্বল এবং নরম ত্বক পেতে আপনাকে সাহায্য করবে। প্রসঙ্গত হলুদের এমন কিছু উপাদান থাকে যা ব্রনের প্রকোপ কমায়। অপরদিকে, এলোভেরা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ।আর দুধ কি কাজে লাগে? কাঁচা দুধ ত্বকের পিএইচ লেভেল ঠিক রাখে ,ফলের ত্বক নরম হয়।

মধু ও অ্যালোভেরা এর গুনাগুন।

যাদের তোলার তথ্যক তাদের জন্য এই ফেস মাস্কটি দারুন কার্যকারী। কারণ মধু এবং এলোভেরা, উভয়েই ত্বকের অতিরিক্ত তেলা ভাব কমায়, শুধু তাই নয় স্কিনের বন্ধ হয়ে যাওয়া ছিদ্রগুলোকেও খুলে দেয়। ফলে ময়লা ধুয়ে গিয়ে ত্বক সুন্দর হতে শুরু করে এ ক্ষেত্রে এক চামচ মধুর সঙ্গে পরিমাণ মতো অ্যালোভেরা মিশিয়ে জেল মিশিয়ে ফেলুন তারপর সেই ফেস মাস্কটি ধীরে ধীরে মেসেজ করুন তাকে। প্রসঙ্গত, প্রতিদিন যদি এই ফেস মাস্কটি মুখে লাগাতে পারেন তাহলে অল্প দিনে দেখবেন উজ্জ্বল হতে শুরু করেছে।

গোলাপজল ও অ্যালোভেরা এর গুনাগুন।

শুষ্ক ত্বকে স্বাভাবিক করতে এফেস মাস্কটি দারুন কাজে আসে। সেই সঙ্গে বলি ,রেখা ব্রণ এবং কালো ছোপ আটকাতে ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। প্রসঙ্গত, এলোভেরা জেল এর সঙ্গে কয়েক ড্রপ গোলাপ গোলাপ জল মিশিয়ে এটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। তারপর সেটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন, তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন মুখটা। প্রসঙ্গত, তোলাক্ত ত্বক, ময়লা এবং ত্বকে জমতে থাকা নানা ক্ষতিকর উপাদানকে পরিষ্কার করে ফেলতে ফেস মাস্কটি দারুন কাজে দেয়।

এলোভেরা ও নিম পাতা এর গুনাগুন।

ত্বকের প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি স্কিনের শুষ্কতা দূর করতে এবং ত্বককে প্রাণোচ্ছল বানাতে এলোভেরার উপকারিতা অসীম। এলোভেরা ও নিম পাতা - এ দুটি উপাদান মিলিয়ে বানিয়ে ফেলুন একটি পেস্ট ,তারপর সেটি মুখে লাগিয়ে নিন। প্রসঙ্গত ,ভালো করে মুখটা ধুয়ে নিয়ে এই ফেস মাস্কটি লাগাবেন নচেৎ ভালো ফল পাবেন না।

ওটমিল ও অ্যালোভেরাএর গুনাগুন।

ত্বকের উপরই অংশে জমতে থাকা মৃত কোষদের পরিষ্কার করে ফেলতে এই ফেস মাস্কটি কাজে লাগে। এলোভেরা জেল ,লেবুর রস মিশিয়ে এই ফেস মাস্কটি বানিয়ে ফেলুন। স্কিন ও হেয়ার কেয়ার এর জন্য অথেক্টিক প্রোডাক্ট চাইলে আপনারা সাজগোজের দুটি ফিজিক্যাল শপ ভিজিট করতে পারেন যার একটি যমুনা ফিউচার পার্ক ও অপরটি সীমান্ত স্কয়ারে।

শসা ও অ্যালোভেরা এর গুনাগুন।

যাদের তো খুব স্পর্শকাতর, তারা এই ফেইস মাস্কটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি বানাতে একটি অ্যালোভেরা পাতা থেকে সংগ্রহীত জেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা শসার রস মিশাতে হবে। যখন দেখবেন দুটি উপাদান ভালো মতো মিশে গেছে তখন সেটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

স্বাস্থ্য রক্ষায় অ্যালোভেরা এর গুনাগুন।

সুষম খাদ্যের পাশাপাশি নিয়মিত এলোভেরা রস পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এলোভেরার ঔষধি গুণ রক্তচাপ কমায় এবং রক্তে কোলেস্টেরল ও চিনির মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে সাহায্য করে ।অ্যালোভেরা প্রাকৃতিক ঔষধের কাজ করে। বিভিন্ন চর্মরোগ অনেক সময় প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় এটি। অনেক সময় প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় এটি। 

আরো পড়ুন,

এলোভেরার মিনারেল, অ্যামিনো এসিড সহ নানা ধরনের পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। যাহার ও মাংসপেশিকে শক্তিশালী করে। এলোভেরার জুস ক্লান্তি দূর করে দেহকে সতেজ করে। দেহে ক্ষতিকর পদার্থ প্রবেশ করালে তা অপসারণ করতে সাহায্য করে এলোভেরা। নিয়মিত এলোভেরা রস পান করলে হজম শক্তি বাড়ে, পরিপাক তন্ত্রের নানা জটিলতা সারাতেও সাহায্য করে অ্যালোভেরা।

রূপচর্চায় অ্যালোভেরা এর গুনাগুন।

তক সতেজ রাখার জন্য নিয়মিত এলোভেরার প্যাক লাগাতে পারেন। ২ চামচ এলোভেরার সঙ্গে একটি ডিমের সাদা অংশ এবং এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ভালোভাবে প্যাক তৈরি করুন পুরো মুখে লাগান, শুকিয়ে এলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এলোভেরার জেল মেছতা দূর করে। আঙ্গুলের ডগায় খানিকটা জেল নিয়ে দাগের উপর ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করুন সারারাত লাগিয়ে রেখে পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলুন।

এভাবে কয়েক সপ্তাহ লাগালে মেছতার দাগ কমে যাবে। এছাড়া এলোভেরা, মধু ও শসা একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট করে মুখে লাগালে মেছতা দূর হওয়ার পাশাপাশি সতেজ হয়ে উঠবে ত্বক। এলোভেরা ও গাজর সেদ্ধ পেস্ট করে লাগালেও উপকার পাবেন। স্ক্রাব হিসেবে এলোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে শুষ্ক ত্বকের জন্য এটি খুবই কার্যকর। 

এলোভেরার সঙ্গে দুধ ,মসুর ডালের গুড়া, তুলসী পাতা, চন্দন ও গোলাপ পাপড়ি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি দিয়ে ঘষে ঘষে ত্বক পরিষ্কার করুন। মরা কোষ উঠে স্নিগ্ধ হবে ত্বক। সানবার্ন থেকে রেহাই পেতে এলোভেরা লোশন ব্যবহার করতে পারেন।

সবচেয়ে ভালো হয় এলোভেরা জেল সরাসরি তাকে লাগাতে পারলে।রোদে পড়ার তামাটে রং দূর হয়ে যাবে দ্রুত। ত্বকের বলিরেখা দূর করার জন্য এলোভেরা রস উপকারী। এজন্য শুকনো কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো ,চালের গুঁড়ো, মধু ও তুলসী পাতার মিশ্রণের সঙ্গে এলোভেরা মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। ত্বকে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানির ঝাপটায় ধুয়ে ফেলুন। বাইরে থেকে এসে মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।

এরপর মেসেজ ক্রিম দিয়ে হালকা হাতে কিছুক্ষণ মেসেজ করুন। এবার স্ক্রাব দিয়ে ত্বকের ওপর জমে থাকা মরা কোষ ও ময়লা পরিষ্কার করে মুখ ভালো করে মুছে আ্যলোভেরা প্যাক লাগান। নিমিষেই স্নিগ্ধ হয়ে যাবে ত্বক। কনুই বা হাটুর কালো দাগ দূর করাতে এলোভেরার পাতার রস নারকেল তেলের মধ্যে মিশিয়ে লাগান। মুখের ত্বকে প্রতিদিন দুইবার এলোভেরা লাগালে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে ত্বক।

গোলাপজল ও অ্যালোভেরা এর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়বে। ব্রণের দাগ দূর করার জন্য এলোভেরা খুবই কার্যকরী। এলোভেরার রসের সঙ্গে মুলতানি মাটি ও চন্দন পাউডার মিশিয়ে মুখে লাগান, প্রাণের দাম চলে যাবে।

চুলের যত্নে অ্যলোভেরা এর গুনাগুন।

চুলের ঝলমলে ভাব বাড়াতে কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরা। অনেক সময় রোদ ও ধুলাবালিতে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। দুর্বল হয়ে মাঝখান থেকে ভেঙে পড়ে। শ্যাম্পু করার পরে নিয়মিত এলোভেরা কন্ডিশনার ব্যবহার করলে মুক্ত পাবেন এ সমস্যা থেকে। বাজার থেকে না কিনে ঘরে বসে বানিয়ে নিতে পারেন কন্ডিশনার।

এজন্য গামলার পানিতে একটি লেবুর রস মিশান। পাঁচ ফোটা নারকেল তেল কিংবা তিলের তেলের সঙ্গে এলোভেরা জেল মিশিয়ে কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করুন। চুল পরিষ্কার করতে শ্যাম্পুর বদলে এলোভেরা হেয়ার প্যাক ব্যবহার করা যায়। নারকেল তেল, লেবুর রস ও নারিকেলের দুধের সঙ্গে অ্যলোভেরা মিশিয়ে ব্যবহার করুন। চুল সতেজ থাকবে ,চার ভাগের এক ভাগ আমন্ড অয়েলের সাথে আধা কাপ এলোভেরার রস মিশিয়ে মাথায় লাগান।

চুলের ময়েশ্চার বাড়বে। চুল সুস্থ রাখতে নিয়মিত তেল ব্যবহার প্রয়োজন। নারকেল বা জলপাই তেলের সঙ্গে এলোভেরা মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন। চাইলে ঘরে বসেও বানিয়ে নিতে পারেন অ্যালোভেরা হেয়ার অয়েল। চার ভাগের এক ভাগ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ভিজিটেবল ওয়েল মিস করুন। তারপর মিশ্রণটি দশ মিনিট গরম করে ঠান্ডা করে নিন। শুষ্ক জায়গায় সংরক্ষণ করুন।

এর নিয়মিত ব্যবহার করলে খুশকি দূর হবে ও চুল পড়া কমবে। এছাড়া খুশকি দূর করতে নারকেল তেলের সঙ্গে এলোভেরা জেল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগাতে পারেন। চুলের যত্নে যারা বেশি সময় ব্যয় করতে পারেন না তাদের জন্য চটজলদি সমাধান এনে দিতে পারে অ্যালোভেরা। এলোভেরা জেল মাথার তালুতে মেসেজ করুন। ২ ঘন্টা রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

নিয়মিত করলে চুল পড়া বন্ধ হবে পাশাপাশি নতুন চুল গজাবে। চুলের সুস্থতায় এলোভেরা শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। কিছু মাইল্ড বা হারবাল শ্যাম্পু এলোভেরা সমৃদ্ধ থাকে। চাইলে সাধারন শ্যাম্পুতে খানিকটা এলোভেরা জেল মিশিয়ে হারবাল শ্যাম্পু বানিয়ে নিতে পারেন। এলোভেরার জেল, টক দই এবং ডিম মিলিয়ে হেয়ার প্যাক তৈরি করতে পারেন নিয়মিত ব্যবহারে চুল বাড়বে দ্রুত।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url