সন্তানের প্রতি পিতা মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য হাদিস| সন্তানের প্রতি পিতা মাতার হক কয়টি

সন্তানের সাথে প্রতিটি বাবা-মায়ের সম্পর্ক বন্ধুর মত হয় যেন তারা তাদের সব কথা একে অন্যের সাথে শেয়ার করতে পারে। যদি সন্তান পিতা-মাতার সাথে কথা বলতে লজ্জা পায় কিংবা পিতা-মাতার ব্যস্ততার জন্য যদি সন্তানকে সময় দিতে না পারেন তাহলে সেটা সন্তানের জন্য মোটেও ভালো হবে না।
সন্তানের প্রতি পিতা মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য মাসিক আল কাউসারসন্তানের প্রতি পিতা মাতার হক কয়টিসন্তানের প্রতি মা বাবার দায়িত্ব ও কর্তব্যসন্তানের প্রতি পিতা মাতার কর্তব্য বইকোরআন ও হাদিসের আলোকে সন্তানের হককোরআন হাদিসের আলোকে পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্যসন্তানের প্রতি পিতা মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্যসন্তানের প্রতি পিতা মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য মাসিক আল কাউসারপিতা মাতার হক ১৪ টিসন্তানের হক নষ্ট করার শাস্তিসন্তানের প্রতি পিতা মাতার কর্তব্য হাদিসসন্তানের প্রতি পিতা মাতার কর্তব্য সম্পর্কে কুরআনের আয়াতসন্তানের প্রতি পিতা মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য pdfসন্তানের প্রতি পিতা মাতার কর্তব্য বইইসলামে সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার
জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর প্রতিটি ক্ষেত্রে সন্তানকে শেখানোর দায়িত্ব তার পিতা-মাতার। শিশুর মন কাদামাটির মত তাই এই সময় সে যা শুনে এবং দেখে তার মনে গেছে যায় কেননা শিশুরা নিষ্পাপ ও সংবেদনশীল এবং ওদের স্নেহ ও মমতা দিয়ে বড় করতে হয়।

আরো পড়ুন,

পিতা-মাতা উচিত সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া। আপনার ছোট্ট একটি বাক্য তাকে আপনার প্রতি আনুগত্য হতে সাহায্য করবে এর ফলে আপনি তাকে ভালো আচরণ শেখাতে পারবেন আজকে আমি এমন কিছু নিয়ে কথা বলব বা আলোচনা করার চেষ্টা করব যা প্রতিটি বাবা-মায় এবং সন্তানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যেমন আপনি বলতে পারেন বা আপনার সারাটা দিন কেমন কাটলো। 

সন্তানের প্রতিদিনের কাজের প্রতি পিতা-মাতার আগ্রহ প্রকাশ করা প্রয়োজন। সে যখন স্কুল থেকে ফিরবে অথবা কোন কাজ থেকে ফিরবে বা রাতে খাওয়ার সময় আপনি তাকে আগ্রহ নিয়ে বলুন সারাদিন তোমার কেমন কেটেছে? এতে করে সে বুঝবে যে আপনি তার বিষয়ে অনেক আগ্রহী তখন সে আপনাকে সব কথা বলার আগ্রহ পাবে ও বলবে যা শুনতে আপনাকেও খুব ভালো লাগবে।

তুমি জয়ী হয়েছোঃ

একটা উৎসাহ দায়ক শব্দ আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিতে পারে বহু গুণ তাই সন্তান কোন খেলায় জয় লাভ করে অথবা ছোট একটি ধাঁধার সমাধান করতে পারে সেসব বিষয়ে প্রতি আপনি আপনার সন্তানকে বলুন তুমি জয়ী হয়েছো। এই ছোট্ট একটি কথাই আপনার সন্তানকে সাফল্যের অনুভূতি যোগে দিতে পারে যা তাকে জয়ী হওয়ার প্রেরণা যোগাবে।

আমি তোমাকে বিশ্বাস করিঃ

এই কথাটিও আপনার সন্তানের জন্য হতে পারে বিশাল একটি জীবন গড়ার লক্ষ। আপনি যখন এই কথাটি আপনার সন্তানকে বলবেন যে আমি তোমাকে অনেক অনেক বিশ্বাস করি তখন সেই আপনাকে বিশ্বাস করা শুরু করবে। এরফলে আপনার বিশ্বাসের অমর্যাদা হয় এমন কোন কাজ করতে সেই অনেকবার ভাববে অথবা কোনদিনই সে করতে পারবে না।

হাল ছেড়ে দিও নাঃ

এই কথাটিও আপনার সন্তানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হাল ছেড়ে দিও না এ কথাটি বলে আপনি আপনার সন্তানকে ধৈর্যশীল শেখাতে পারবেন কেননা কোন কাজ একবার না পারলেও সে যেন হতাশ না হয়ে পড়ে এবং একটি কাজ বারবার চেষ্টা করেও যদি সে সফল হতে না পারে তাহলে কাজটি অন্য কোন পন্থায়াই করতে হবে সেটা যেন চিন্তা করতে পারে এ বিষয়টি তাকে বাক্য দিয়ে শিখিয়ে দিতে হবে।

আপনার সন্তানকে না বলতে শেখানঃ

আপনার সন্তানটি যখন আস্তে আস্তে ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে তখন সে কি চায় এবং কি চায় না সে বিষয়ে যেন সিদ্ধান্ত নিতে পারে সেটাও আপনাদের কাছ থেকে শেখাতে হবে। এতে করে আপনার সন্তান প্রফুল্ল থাকবে এবং মর্যাদার অনুভব করবে যার ফলে তার ব্যক্তিত্ব ও স্বতন্ত্রতা তৈরি হবে। 

এর ফলে যদি আপনি মানুষ তাকে জ্বালাতন করে সেই তাদের চিহ্নিত করতে পারবে এবং ভালো-মন্দের পার্থক্যটা যদি সে বুঝতে শিখে যায় তাহলে সে সার ধরতে পারবে কোনটা তার জন্য ভালো আর কোনটা তার জন্য খারাপ হতে পারে। তারা ঠিক পথে এগোচ্ছে কিনা বা চলছে কিনা সে বিষয়টি নিয়েও খেয়াল রাখতে হবে প্রতিটি বাবা-মাকে।

আপনার সন্তানের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বাক্য অন্যকে সাহায্য করঃ

আপনি আপনার সন্তানকে সামাজিক ও মানবিক আচরণ শেখানোর মূল দায়িত্ব হিসেবে পালন করতে পারেন। আপনার সন্তানকে বলুন অন্যের প্রয়োজনে সাহায্য করতে তাহলে সেও তার প্রয়োজনে অন্যদের পাশে পাবে। অসহায় ও দুর্বল মানুষের পাশে দাঁড়াতে শেখান আপনার সন্তানকে কেননা ভালো কাজের ভালো ফল এবং খারাপ কাজের খারাপ ফল মানুষকে ভোগ করতেই হবে এই কথাটি তাকে বুঝিয়ে বলুন।

এভাবে সেই মানবিকতা ও সামাজিকতার বিষয়গুলো আস্তে আস্তে বুঝতেও শিখতে পারবে। আপনি আপনার সন্তানকে যে বিষয়গুলো শিখাচ্ছেন সে বিষয়গুলো আপনাকেও পালন করতে হবে তা না হলে আপনার প্রতি তার আস্থা তৈরি হবে না।

আপনার শিশুকে যেভাবে ভাষা শেখাবেনঃ

যেসব সামাজিক আচরণ শিশুর ধনী এবং ভাষা শেখার কাজে সহায়তা করে তাকে বলে গেজ সিফটিং। অর্থাৎ নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য দেওয়া হয়েছে যে সামাজিক আচরণের দক্ষতা লাভ করে শিশুরা তা হল কারো চোখে চোখ রাখা এবং কেউ এক জিনিসের দিকে তাকিয়ে রয়েছে তা বুঝতে পেরেই ওই জিনিসের দিকে তাকানো।

ইউনিভার্সিটি অফ অসিনটরের ইনস্টিটিউট অব লার্নিং এন্ড ব্রেইন সাইন্স এর বিভাগের এক গবেষক প্যাট্রিসিয়া কুল বলেন শিশুদের সামাজিক দক্ষতা বিকশিত হতে থাকার একটি অংশ হল নতুন ভাষা শেখার পদ্ধতি আয়ত্ত করা। মোটামুটি ১০ মাস বয়সের শিশুরা গেইজ শিফটিং এর মাধ্যমে ভাষা শেখার চেষ্টা করে। এটি শেখার ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে থাকে।

গবেষণায় আরো বলা হয়েছে যে ১৭ জন শিশুকে নেওয়া হয় এসব শিশুর সবাই ইংলিশ কে মাতৃভাষা হিসেবে শুরু করে। তাদের নিয়ে ১২ থেকে ২৫ মিনিটে সেসন সম্পূর্ণ করেন গবেষকরা।

এই পরীক্ষায় গবেষকেরা মুখে এবং বই থেকে পড়ে স্টিকারের মাধ্যমে স্প্যানিশ ভাষা শোনার শিশুদের গেজ সেটিং এর মাধ্যমে শব্দের তাকানো দিয়ে টাকায় বা শেখানোর চেষ্টা করে। যারা গেইট শিফটিং যত বেশি সে শিশু এ ভাষা কথা শুনে তত বেশি প্রক্রিয়া করেছে এরা শব্দের উৎস ধরার জন্য বেস্ট উৎসাহী হয়ে ওঠে এবং তা চোখ দিয়ে দেখতে চাই।

ডেভেলপমেন্ট নিউরো সাইকোলজি জার্নালে প্রকাশিত এ গবেষণা পত্রে বলা হয় সামাজিক কার্যকলাপে মিশে যাওয়ার অংশ হিসেবে ভাষা শিখনের আগ্রহ এই শিশুরা। তা ছাড়া শিশুরা খেলতে খেলতে সবচেয়ে বেশি শেখার কাজটি সম্পন্ন করতে পারে।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url