শিশুর ত্বকের সমস্যা ও সমাধান | নবজাতকের যত্নে করণীয় ও পরিচর্যা।

আসসালামু আলাইকুম, সম্মানিত মা ও বোনেরা শিশু ত্বক সম্পর্কে এর আগে অন্য একটি পোস্টে কিভাবে নবজাতক শিশুর ত্বকের যত্ন নিবেন সে সম্পর্কে একটি পোস্ট লেখা হয়েছে। আজকে যে পোস্টটি উপস্থাপন করবো আপনাদের সামনে সেটি হল শিশু ত্বকে যেসব সমস্যাগুলো হয় এর সমাধান কিভাবে করবেন এবং সমস্যাগুলো কি কি একটু জেনে নেব।
বাচ্চাদের চুলকানির ঘরোয়া চিকিৎসা।বাচ্চাদের ত্বকের রোগ।করণীয় কি ও সমাধান।শিশুদের স্কিন সমস্যা।
সম্মানিত মা ও বোনেরা শিশু ত্বকের জন্য বা নবজাতক শিশুর যেসব সমস্যাগুলো দেখা দেয় তা আমাদের প্রথম অবস্থায় চিহ্নিত করে বের করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে নিজে না পারলেও কোন শিশু বিশেষজ্ঞ দ্বারা সমস্যা গুলো বের করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে আমি কিছু সমস্যা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব।

সুচিপত্রঃ

  • বাচ্চাদের চুলকানির ঘরোয়া চিকিৎসা।
  • বাচ্চাদের ত্বকের রোগ।
  • শিশুদের স্কিন সমস্যা।
নবজাতকের সুস্খ আবাহর জন্য শিশুদের ত্বক অনেকে সময় অতিরিক্ত শুক্র হয়ে যায়। এ সময়ে শিশুর জন্য বা নবজাতক শিশুর ত্বকের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বা জরুরী হয়ে পড়ে। এর সঙ্গে একজিমার মত সমস্যাও দেখা দিতে পারে যেমন বারবার হাঁচি হতে পারে একে বলা হয় এলার্জিক রায়নাটিক্স।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় পরিবারে কারো যদি একজিমা বা অ্যাজমা থাকে তাহলে তা বাড়ির শিশুদের মধ্যেও বংশগতভাবে চলে আসতে পারে। তবে এসব সমস্যার সাধারণত শীতকালই বেশি দেখা দিতে পারে।

বাচ্চাদের চুলকানির ঘরোয়া চিকিৎসা।

সেক্ষেত্রে প্রথমেই বলবো আপনারা একজন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।আরো পড়ুন, রিসেলিং কি? রিসেলার করে আয় - বাংলাদেশের রিসেলিং সাইট
তাছাড়া আমি আজকে কিছু ঘরোয়া পরিবেশের কিভাবে এজমা রোগে লক্ষণ দেখা মাত্রই এর সমাধান করতে পারবেন।
  • সেক্ষেত্রে শিশুকে নিয়ে মতে খাঁটি নারিকেল তেল বা ভালো মানের অলিভ অয়েল দিয়ে মেসেজ করবেন।
  • এরকম হলে ময়এচরআইজ ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরী।
  • হোয়াইট শপ কেরাসিন বা ফসপ লিপিড সমৃদ্ধ মইচারাইজার ত্বকের উপরে ভালো প্রভাব থাকে।
  • প্রতিদিন শিশুকে এসব পাওয়া হালকা গরম পানিতে গোসল করান খেয়াল রাখবেন পানি তাপমাত্রা যেন ৩৭ ডিগ্রি বেশি না হয়।
  • শিশুকে দ্রুত গোসল করানোর চেষ্টা করবেন এবং পাঁচ মিনিটের বেশি গোসল করাবেন না।
  • কেননা এক্ষেত্রে ত্বকের কার্নিয়াল লেয়ার ফুলে গিয়ে প্রদান হতে পারে।
  • শিশুর সারা গায়ে যদি প্রচন্ড চুলকানি হয় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের সর্বপন্ন হবেন।
  • ইনফ্যান্টাইল ড্রামা ট্রিটি স যাদের বয়স এক বছরের কম তাদের ক্ষেত্রে এ রোগ বেশি হয়।
  • প্রায় ১০ থেকে ১২% শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা দেয়।
  • এ সময় শিশু ত্বকের যত্ন না নিলে নানা সমস্যার দেখা দিতে পারে।

বাচ্চাদের ত্বকের রোগ।

  • শিশুদের মাথায় খুব খুশকি হয়।
  • দেহের বিভিন্ন অংশ যেমন গলায় বগলে থাইয়ের ভাজে নেপি এরিয়াল লাল লাল দাগ হয়।
  • চামড়া উঠতে শুরু করে।
  • অনেক সময় রস বের হয়।
  • চোখের পাতায় চোখের পলকে ইস্কে লস হতে পারে।

করণীয় কি ও সমাধান।

  • নিয়মিত খাঁটি নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল বাচ্চা চুলে লাগাবেন।
  • শিশুর মাথায় দুই থেকে তিন মাস তেল লাগানো প্রয়োজন।
  • কিটো কলোনি জাল বা জিংফাই রেসিওন সমৃদ্ধ শ্যাম্পু দিয়ে প্রত্যাহার দুই থেকে তিনবার শিশুর চুল পরিষ্কার করতে হবে।
  • দুই থেকে তিন মাস এই চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।
  • যেহেতু তাকে ইরিটেশন হয় তাই শিশুরা প্রায় এই জায়গাগুলো চুলকাতে থাকে। এর ফলে চামড়া উঠে যাওয়া স্বাভাবিক এবং ডাক্তার পরামর্শ কোন মলম জাতীয় ওষুধ লাগানো যেতে পারে।
  • শিশুর গায়ে ভালো করে তেল মাখাবেন।
  • নারিকেল তেল অলিভ অয়েল বা আমন্ড দিয়ে ভালো করে মেসেজ করে সাবান ব্যবহার করবেন।
  • বাচ্চার জন্য লিকুয়েস্ট সবচেয়ে ভালো হতে পারে। তবে সাবধানে পিএইচ মাত্রা শিশু ত্বকের পিএইচ মাত্রা সমান সেরকম সাবান শিশু তাদের জন্য উপযোগী।

শিশুদের স্কিন সমস্যা।

শিশুকে কখনো সরিষার তেল মাখাবেন না কেননা সরিষার তেল থেকে ফুসকুড়ি বা প্রদান হতে পারে। সরিষার তেল মাখিয়ে বাচ্চাকে রোদে রাখা যে প্রচলিত রীতি আছে তা একেবারেই অনুচ্ছেদ বলে মনে করা হয়। এতে ত্বকের ইগমেন্টেশন বেড়ে যায় এবং শিশু কালো হয়ে যায়।
শিশুর ব্যবহারের সাবান এবং শ্যাম্পু সমৃদ্ধ সচেতন থাকুন কেননা বিজ্ঞাপন ভালো লাগলে শিশুদের ফেলবেন না। যেসব সামান্য শ্যাম্পু কোয়ালিটি কন্ট্রোলের মাধ্যমে পরীক্ষিত সেসব পণ্য ব্যবহার করা উত্তম।

বাবা মার কাছে তার সন্তান দেখি চোখের মনে। কোন বাবা মা চাইনা তার বাচ্চা অসুখ ের ভোগো। কিন্তু তারপরেও নানা অসুস্থতার কারণে শিশুরা বিভিন্ন সমস্যার করতে পারে। সেইদিকে প্রতিটি বাবা-মার খেয়াল রাখতে হবে।

শেষ কথাঃ সম্মানিত মা ও বোনেরা আমি বালাই সম্পর্কে বেশ কিছু কথা তুলে ধরেছি আপনারা অবশ্যই সেগুলো ট্রাই করতে পারেন এবং পোস্টটি পড়ে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। কেননা আপনাদের কমেন্ট বা উৎসাহ আমাকে আরো হয়তো অন্য পোষ্টের লিখার অনুপ্রেরণা যোগাবে সবাই ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url