বিকাশ লোন কিভাবে পাওয়া যাবে - বিকাশ লোন কারা পাবে।

বিপদে পড়েছেন, টাকা দরকার বন্ধুবান্ধবদের কল দিয়েছেন এবং আত্মীয়-স্বজনদের সাথে কথা বলেছেন, কিন্তু সব জায়গা থেকেই হতাশ, কি করবেন এই মুহূর্তে খুঁজে পাচ্ছেন না কোন উপায়, এইরকম সময়ে যাতে হয়রানি হতে না হয় খুব সহজেই যাতে লোন পাওয়া যায় এইজন্য বিকাশ এবং সিটি ব্যাংক নিয়ে এলো লোন সুবিধা।
বিকাশ দিয়ে ১০ হাজার টাকা ঋণ পাওয়ার নিয়ম ১০ হাজার টাকা লোন বিকাশ লোন পরিশোধ সহজ কিস্তিতে লোন বিকাশ লোন ফরম বিকাশ থেকে লোন নিতে চাই নগদ থেকে লোন
আজকের এই পোস্টটিতে আপনাদের আমি বলব কিভাবে আমরা বিকাশে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন নেওয়া যায়।

পোস্ট সূচি পত্রঃ

  • বিকাশ দিয়ে ১০ হাজার টাকা ঋণ পাওয়ার নিয়ম।
  • বিকাশ লোন ফরম।
  • সহজ কিস্তিতে লোন।
  • বিকাশ লোন পরিশোধ।
এই থাআর্টিকেলটিতে কবে সম্পূর্ণ খুঁটিনাটি বিষয়গুলো লোন নিলে কত টাকা অতিরক্ত বা ইন্টারেস্ট দিতে হবে। লোন নেওয়ার পরে কত দিনের মধ্যে পরিশোধ দেওয়া লাগবে, কিভাবে লোনটি আবেদন করবেন, লোন নেওয়ার পরে যদি কেউ পরিশোধ না করে বা বিকাশ চালানো বন্ধ করে দেয় তাহলে কি হবে এবং এর শর্ত গুলো কি কি সবকিছু শেয়ার করব বা আমি বলব আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে।

বিকাশ দিয়ে ১০ হাজার টাকা ঋণ পাওয়ার নিয়ম।

সম্মানিত পাঠাও চলুন জেনে নেওয়া যাক বিকাশ লোন নেওয়ার জন্য আমাদের কি কি পদ্ধতি অনুসরণ করা লাগবে। প্রথমেই আমি কিছু ইনফরমেশন শেয়ার করি বিকাশ এবং সিটি ব্যাংক মিলে পৌনে 200 কোটি টাকা মানুষকে লোন দিয়েছে। যার মধ্যে প্রায় দেড়শো কোটি টাকা মানুষ লোন পরিশোধ করেছে।


তাই এ লোন যদি আপনিও নিতে চান তাহলে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে, অবশ্যই আপনাকে আপনার স্মার্টফোনে বিকাশ এপস থাকতে হবে এবং সাথে বিকাশ একাউন্ট খুলে নিতে হবে। এরপরে আপনাকে বিকাশ অ্যাপসের মাধ্যমে আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড এর সকল তথ্য দিতে হবে। এবং এন আই ডি কার্ডটি অবশ্যই ভেরিফিকেশন করে রাখতে হবে।

এরপর আপনাকে যা করতে হবে বিকাশ অ্যাপসে লোন নামক অপশনে প্রবেশ করতে হবে। সেখান থেকে আপনাকে লোনের প্রসেসগুলো সম্পূর্ণটাই কমপ্লিট করতে হবে। এজন্য অবশ্যই আপনাকে আপনার সম্পূর্ণ তথ্য হালনাগাদ করে রাখতে হবে। তো চলুন এবার আমরা কথা না বাড়িয়ে কাজের দিকে ফিরে যায়।


সম্মানিত পাঠক প্রথমে আপনাকে আপনার বিকাশ অ্যাপসে গিয়ে প্রবেশ করতে হবে এই জন্য আপনি অ্যাপসটি প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নেবেন এরপর ডাউনলোড হয়ে গেলে ইন্সটল করে নেবেন। তারপরে যা করতে হবে অ্যাপসটি ওপেন করবেন ওপেন করার সময় আপনাকে ৪ অথবা ৫ ডিজিটের পিন চাইবে আপনার যেটি পিন বিকাশে দেওয়া থাকবে সেই পিন দিয়ে বিকাশ অ্যাপসে প্রবেশ করবেন।

বিকাশ লোন ফরম।

বিকাশ অ্যাপসের উপরে যেই মেনু বার আছে সেই মেনুবার থেকে, অর্থাৎ বিকাশের লোগো আছে সেখানে প্রবেশ করে ইনফরমেশন গুলো আপডেট করে নেবেন। অর্থাৎ তথ্য হালনাগাদ এই অবসানে গিয়ে প্রবেশ করতে হবে।
বিকাশ দিয়ে ১০ হাজার টাকা ঋণ পাওয়ার নিয়ম ১০ হাজার টাকা লোন বিকাশ লোন পরিশোধ সহজ কিস্তিতে লোন বিকাশ লোন ফরম বিকাশ থেকে লোন নিতে চাই নগদ থেকে লোন
তারপরে দেখবেন কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলবে।
Take photo of your in ID
File in required information
Take a phone of your face

এখানে দেখুন প্রথম অংশে বলা হয়েছে আপনাকে আপনার এনআইডি কার্ডটি স্ক্যান করতে। আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড দিয়ে প্রথম অংশ সুন্দর করে স্ক্যান করে নিবেন এর পরে দ্বিতীয় আগের মতো করে স্ক্যান করে submit option ক্লিক করে দিবেন। এটি যদি আপনার ঠিকঠাক সাবমিট হয়ে যায় তারপরে পরবর্তী স্টেপ অর্থাৎ পরের অংশে নিয়ে যাওয়া হবে।
 
সেখানে আপনি দেখতে পাবেন আপনার এন আইডি কার্ডটি স্ক্যান করার ফলে আপনার সম্পূর্ণ তথ্যটি স্ক্রিনে চলে আসবে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পরবর্তী পদক্ষেপে আপনাকে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে আপনার কিছু আরও তথ্য দিতে হবে যেমন, আপনি পুরুষ অথবা মহিলা যেই হোন না কেন সিটি নির্বাচন করতে হবে। এরপরে আপনি কি করেন অর্থাৎ আপনার পেশা কি সেটা নির্বাচন করতে হবে।


এ ধাপে আবারো আপনার মাসিক আয় কত সেটা নির্বাচন করতে হবে। তারপরে ধাপে আপনি সাবমিট অপশন এ ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে প্রবেশ করবেন। এই ধাপে বা এই অংশে আপনাকে বলা হয়েছে আপনার মোবাইল ফোন দিয়ে ফেস অর্থাৎ মুখের ফেস ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ছবি তুলুন। 

এখানে বলাই বাহুল্য যে অবশ্যই আপনার এন আইডি কার্ড এ যে ছবি অর্থাৎ আপনি আপনার এনআইডি কার্ড দিয়ে সম্পূর্ণ তথ্য হালনাগাদ করে থাকলে সেখানে আপনার ছবিটাই গ্রহণযোগ্য হবে।

এন আই ডি দিয়ে তথ্য হালনাগাদ করলে আর যদি আপনি আপনার ছবি তোলেন তাহলে সেটি গ্রহণযোগ্য হবে না। এইজন্য আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যার এনআইডি দিয়ে তথ্যটি হালনাগাদ করেছেন কেবল সেই ব্যক্তির ছবি তুলবেন। এরপর আপনার যখন ছবিটি সম্পূর্ণটাই সার্কেল আকারে অর্থাৎ চারদিক ঘুরে ছবিটি নিয়ে নিবে তখন আপনার ছবির আপডেট হয়ে যাবে। এরপর আপনাকে কনফার্মেশন জানিয়ে দেওয়া হবে যে আপনার সকল তথ্যটি সম্পন্ন ভাবে কনফার্মেশন হয়েছে অর্থাৎ আপডেট হয়েছে। এরপর আপনি আপনার বিকাশ অ্যাপসের হোমে অর্থাৎ মেইন ড্যাশবোর্ডে চলে আসবেন।

সহজ কিস্তিতে লোন।

প্রথমে আপনাকে বিকাশের মেইন মেনু অর্থাৎ ড্যাশবোর্ডে এসে লোন নামক একটি আইকন আছে সেখানে প্রবেশ করতে হবে। এরপর আপনার সামনে একটি নতুন ট্যাব ওপেন হবে সেখানে অনেক কিছুই লেখা থাকতে পারে যেমনটি আমি আমার ক্ষেত্রে হয়েছে, Sorry based on the financial transaction credit policy your Vikas account is not yet eligible or loan service. অর্থাৎ সেখানে বলা হয়েছে যে এখনো আমি তাদের কাছ থেকে লোন নেওয়ার গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি।

তার জন্য আমাকে বা আপনার ক্ষেত্রেও হতে পারে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হতে পারে। এবং বেশি বেশি লেনদেন করতে হবে বিকাশ অ্যাপসের মাধ্যমে। এরপরে কিছুদিন অপেক্ষা করার পরে আপনি আবারও লোন অপশনে গিয়ে প্রবেশ করবেন সেখানেই প্রবেশ করা মাত্রই আপনাকে লোনের সবকিছু বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হবে। আপনি ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন আপনি একটি এমন নির্ধারণ করে দিবেন।

এ অংশে আপনার সুবিধামতো লোনের চাহিদা অর্থাৎ টাকার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়ে গেলে সেখান থেকে আপনার সম্পূর্ণ লোন সুবিধা অসুবিধা কি কি আছে সেগুলো আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে একে একে আপনারা টার্মস এন্ড কন্ডিশনগুলো পড়ে নিবেন অর্থাৎ নীতিমালা গুলো পরে বুঝে শুনে সেখানে সামনের দিকে এগিয়ে যাবেন। আপনি সম্পূর্ণ নিয়ম নীতিগুলো মেনে যখন লোন এপ্লাই করবেন সেখানে আপনাকে কত পারসেন্ট লাভ দিতে হবে কত দিনে লোনটি পরিশোধ করতে হবে।

সবকিছুই আপনাকে নীতিমালার মধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হবে সেখান থেকে আপনি জেনে বুঝে এবং দেখে গ্রহণযোগ্যতা মনে হলে এপ্লাই করবে। এখানে উল্লেখ্য বিষয় যে লোনটি আপনি পাবেন মাত্র তিন মাসের জন্য। আপনি সবকিছু জেনেশুনে যদি লোন অ্যাপ্লাই করে থাকেন তবে তারা সাথে সাথে আপনার বিকাশ একাউন্টে আপনি যে টাকাটি লোনের জন্য এপ্লাই করেছিলেন সে টাকাটি আপনার একাউন্টে চলে আসবে।

বিকাশ লোন পরিশোধ।

সম্মানিত পাঠক আপনি প্রথমেই আপনার বিকাশ অ্যাপসে এনআইডি কার্ড দিয়ে তথ্যটি হালনাগাদ করেছেন। এই ক্ষেত্রে আপনার লোন পরিশোধ না করার কোন যুক্তি আসেনা অর্থাৎ আপনাকে লোন পরিশোধ করাই লাগবে। তাই বলা যায় যে যখন আপনি এনআইডি কার্ড দিয়ে তথ্য হালনাগাদ করেছেন তখন অবশ্যই আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তাদের নীতিমালার মধ্যে যে আপনি লোনের জন্য যখন আবেদন করেন তখন সম্পূর্ণভাবে পড়ে নেবেন অর্থাৎ সে নীতিমালার মধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী আপনার উপর মামলাও হতে পারে এবং আইনের আওতায় আপনাকে আনা হবে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই লোন পরিষদ করতেই হবে।

সম্মানিত পাঠক আপনারা বিকাশের লোন নিবেন, অবশ্যই জেনে বুঝে শুনে তারপরে এপ্লাই করবেন। আজকে এ পর্যন্ত, অন্য একটি কন্টেন নিয়ে বা পোস্ট নিয়ে আপনাদের সাথে আবারো কথা হবে সে পর্যন্তই আপনারা অবশ্যই ভালো থাকবেন আর আমার সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ আমার এই পোস্টটি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url