শীতকালীন পুঁইশাক চাষ | পুইশাকের পুষ্টিগুণ | পুইশাকের উপকারিতা ও অপকারিতা।

আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত চাষি ভাই ও বোনেরা আজকে আমি শাকসবজি নিয়ে কিছু কথা লিখব যারা শাকসবজি খেতে ভালোবাসেন বা চাষ করতে আগ্রহী তাদের জন্য আমার এই পোস্টটি খুব উপকার হবে। আশা করছি আমার এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে আপনারা অবশ্যই উপকৃত হবেন।
পুইশাক জাত পুইশাক চাষে লাভ পুঁই শাকের চাষ টবে পুঁইশাক চাষ পদ্ধতি ঢেঁড়স চাষ পদ্ধতি কলমি শাক চাষ পদ্ধতি শীতকালীন লাউ চাষ পুইশাক বীজ পুইশাকের অপকারিতা পুইশাকের উপকারিতা ও অপকারিতা পুইশাকের বিচি কলমি শাকের পুষ্টিগুণ পুইশাকের বৈজ্ঞানিক নাম পুইশাকের ইংরেজি নাম পুইশাকে কি ভিটামিন আছে পুইশাকের বিচির উপকারিতা পুঁইশাক খেলে কি গ্যাস হয় পালং শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা পুঁইশাক খাওয়ার অপকারিতা পুঁই শাকের বিচির উপকারিতা লাল শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা কচু শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা পুইশাকের পুষ্টিগুণ

পুঁইশাক হচ্ছে অতি প্রয়োজনীয় একটি তরকারি যা কিনা খুব দামে সস্তা এবং আমরা প্রায়ই বাসা বাড়িতে পুইশা খেয়ে থাকি। পুঁইশাক প্রায় সবাই কমবেশি পছন্দ করে থাকি।এটি প্রধানত শীতকালীন সবজি যা কিনা শীতকালে বেশি উৎপাদন করা হয়ে থাকে তাছাড়া বারো মাসে বৈশাখ চাষ করা যায়।

পুঁই শাকের চাষ।

পুঁইশাক চাষ কিভাবে করবেন এবং পুঁইশাক চাষে কিভাবে চারা তৈরি করবেন সে বিষয়ে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। সম্মানিত ভাইয়েরা পুঁইশাক চাষের জন্য শারিতে পড়লে প্রতি শতকে 8 থেকে 10 গ্রাম ব্রিজ লাগবে। পুঁইশাকের বীজ বপণের জন্য ১৮ থেকে ২০ সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা প্রয়োজন হয়ে থাকে। এটি একটি শীতকালীন সবজি তাই শীতের সময় যখন তাপমাত্রা কম থাকে সে সময় বীজ গঠন করা উত্তম।

আরো পড়ুন,

সাধারণত গ্রীষ্মকালে বর্ষায় এর চাষ ভালো হয় বলে ধারণা করা হয়। াট হিজ বপনের সময় অবশ্যই বিষকে ২৪ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরে জমিতে প্রতি দিতে হবে। কখনো কখনো বেডে চারা তৈরি করা হয়ে থাকে। যেমন ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত চারা তৈরি জন্য বেডে বা পলিব্যাগে ভিজবো না অত্যন্ত উত্তম সময় বলে বিবেচিত করা হয়।

পুঁইশাকের চারা দুই সপ্তাহ হয়ে গেলে সেগুলো তুলে মূল জমিতে লাগানো যায় বা ফাঁকা জায়গায় পূরণ করে লাগিয়ে দেওয়া যায়। পুঁইশাকের বেডে ছাড়িতে বললে প্রতি শতকে 8 থেকে 10 গ্রাম ও হেক্টর প্রতি এক থেকে দুই কেজি ব ীজ লাগবে।

পুঁইশাকের জন্য উপযুক্ত জমি তৈরি ও চারা রোপণ পদ্ধতিঃ

পুঁইশাক চারা রোপনের পূর্বে জমির আগাছা পরিষ্কারের পর পাঁচ থেকে ছয়টি চার্জ উভয় দিয়ে জমির মাটি উত্তমরূপে দোলায় মালায় করে তৈরি করে নেওয়াটাই ভালো। যারা উৎপাদন করে ১৫ থেকে ২০ দিনে চারা লাগানো যাবে। পুঁইশাকের চারা রোপণের জন্য সারি থেকে শাড়ি এক মিটার এবং প্রতি ছাড়িতে ৫০ সেন্টিমিটার দূরে দূরে চারা রোপন করা যেতে পারে।

পুঁইশাক চাষে স্যার প্রয়োগও ব্যবস্থাপনাঃ

পুঁইশাক চাষের জন্য ইউরিয়া ছাড়া সব সারি জমি তৈরি সময় প্রয়োগ করতে হবে বা প্রয়োগ করা যেতে পারে। চারার বয়স ১০ থেকে ১২ দিন হলে ইউরিয়া সার প্রথম কিস্তিতে এবং ৪০ থেকে ৪৫ দিন পর প্রথমবার ফলন তোলার পর বাকি দুই কিস্তি এই মোট তিন কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হবে।

গোবর ও টিএসপি অর্ধেক জমি তৈরির সময় এবং বাকি অর্ধেক চারা রোপনের সময় গর্তে প্রয়োগ করতে হবে। পুঁইশাক চাষে শতক প্রতি স্যারের মাত্রা হলো গোবর ৬০ কেজি, সরিষার খৈল ৫০০ গ্রাম, ইউরিয়া ৮০০ গ্রাম, ডিএসপি ৪০০ গ্রাম এবং এমওপি ৪০০ গ্রাম।

পুঁই শাক চাষে সেচ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাঃ

বর্ষায় সাধারণত সেচ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। মাটিতে রস না থাকলে অবশ্যই সেল দিতে হবে। প্রায় মাটি আলগা করে দিতে হবে যাতে পুঁইশাক চাষে আগাছা ও নিড়ানি ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। হরণ দেশি পেতে হলে বাউনি দিতে হবে।

পুঁই শাকের গাছের গোড়ায় কখনো পানি জমতে দেওয়া যাবেনা তা না হলে গাছের গোড়া পচে যেতে পারে। আবার অনেক বৃষ্টিপাত হলে দেখা যায় যে ঘোড়ার মাটি ধুয়ে যায় তাই বৃষ্টির পর গাছের গোড়ায় মাটি দিয়ে চেপে দিতে হবে। চারা ২৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার উঁচু হলে আগা কেটে দিতে হবে এতে গাছ ঝোপালো হয়ে যায় এবং গাছের বৃদ্ধি পায়।

পোকামাকড় ও রোগবালাই দমনঃ

পুঁইশাকে পাতার বিটল বা ফিলি বিটল ছাড়া আর কোন পোকা তেমন ক্ষতি করে না। এই পোকা আপুই শাকের পাতা ছোট ছোট করে ছিদ্র করে ফেলে। সারকোরা পাতার দাগ পুঁই সাকির একটি মার্ক এছাড়াও আরো কয়েক ধরনের রোগ পুঁইশাক গাছে দেখা দিতে পারে। ছত্রাক নাশক স্প্রে করে এসব রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। 

তাছাড়া পুঁই শাক ের গাছের ডগা মাঝে মাঝে কেটে দিতে হবে এতে শাক খাওয়ার হয় আবার গাছের নতুন ডগাও বের হয়। পুঁই শাকের ফলন প্রতি শতকে ২০০ থেকে ২৮০ কেজি এবং হেক্টর প্রতি ৫০ থেকে ৭০ টন হয়ে থাকে।

শেষ কথাঃ আধুনিক পদ্ধতিতে পুঁইশাক চাষ করলে বেশি লাভবান হয়ে হওয়া যায়। তাই আপনারা উপরোক্ত নিয়মাবলী মেনে পুঁইশাক চাষ করলে অবশ্যই লাভবান হতে পারবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url