শোল মাছ চাষ | পাবদা মাছ চাষে পুকুরের গভীরতা ।

আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত মাত্রাসিন ভাই ও বোনেরা আপনারা যারা পুকুরে, খাল, বিল, নালাতে বাণিজ্যিকভাবে শৈল মাছ এবং পাবদা মাছ চাষ করতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমার এই পোস্টটিকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে নেবেন। কেননা আমি এই পোস্টটির মাধ্যমে কিভাবে শোল মাছ এবং পাবদা মাছ চাষ করতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
শোল মাছ কি কি খাবার খায়শোল মাছের পোনার দামশোল মাছের বাচ্চাভিয়েতনাম শোল মাছ চাষ পদ্ধতিশোল মাছের দামশোল মাছের উপকারিতাবড় শোল মাছের ছবিপাবদা মাছের খাবার তালিকাপাবদা মাছের বৈশিষ্ট্যপাবদা মাছের ছবিপাবদা মাছের উপকারিতাশতক প্রতি মাছ ছাড়ার নিয়মপাবদা মাছের মজুদ ঘনত্বতেলাপিয়া মাছ চাষ পদ্ধতিপারিবারিক মিনি পুকুরে চাষ করা
আপনারা এই পোষ্টের মাধ্যমে আরো জানতে পারবেন কিভাবে শোল মাছ এবং পাবদা মাছের খামার ব্যবস্থাপনা এবং খাদ্য বাসস্থান নির্বাচন ইত্যাদি বিষয়ে। তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আপনারা আমার এই পোস্টটি পড়ে খুব সহজেই শোল মাছ এবং পাবদা মাছ চাষ করতে পারবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা জেনে নেওয়া যাক। 

আরো পড়ুন,

আর অবশ্যই আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকলো এই পোস্টটি পড়ে যদি এতটুকু পরিমাণ উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন এবং ভুল ত্রুটি মার্জনীয়। প্রথমে আমি যে মাছটি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হচ্ছে শোল মাছ কিভাবে চাষ করবেন এবং এর গুনাগুন খাদ্য বাসস্থান নির্বাচন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব।

শোল মাছ চাষে ভূমিকাঃ

আসল মাত্র আমরা রাক্ষুসে মাছ হিসেবে সাধারণত চিনে থাকি। শোল মাছ সাধারণত দামে অনেক বেশি হয়ে থাকে এবং এই শোল মাছটি দামি হলেও চাষ খরচ খুবই কম বললেই ধরা হয়। শোল মাছ সাধারণত সব ধরনের দুর্যোগ প্রতিকূল পরিস্থিতি এবং অন্যান্য রোগ বালাই মোটামুটি ভাবে সহ্য করতে পারে। স্ত্রী শোল মাছ বা মা শোল মাছ নিজেই নিজেদের মতো করে ডিম পাড়তে ভালোবাসে অথবা নার্সিং ও পোনা লালন করে থাকে।

পোনা মজুদ বাংলাদেশের বাণিজ্যিকভাবে শোল মাছ চাষ হয় না এবং প্রাকৃতিক ভাবে সংগ্রহের উপর জোর দিত হতে পারে। সাধারণত বৈশাখ মাসে প্রথম দিকে শোল মাছ প্রজনন ক্ষমতা সম্পন্ন হয়ে থাকে এবং বৈশাখ মাসের প্রথম থেকে সে শোল মাছ বাচ্চা দিতে শুরু করে। বাচ্চাগুলো এর ঝাঁক হয়ে থাকে সে সময় হাওড়া পুকুর থেকে সপ্তাহখানেক বয়সেই বাচ্চা সংগ্রহ করতে হবে কেননা এটি বাণিজ্যিকভাবে কোন বাচ্চা উৎপাদন করা হয় না। 

পুনা সংগ্রহ করার জন্য কোন না পাওয়া গেলে বড়সোল মাছ পুকুরে সংগ্রহ করে রাখতে হবে। একইভাবে প্রতি শতাংশে দশটি শোল মাছ সংগ্রহ করে রাখা যেতে পারে। সাধারণত মিশ্র পদ্ধতিতে শোল মাছ চাষের জন্য প্রতি শতাংশে চারটি করে শৈল মাছ সংগ্রহ করা যেতে পারে। একটি শোল মাছ প্রাপ্তবয়স্ক লম্বায় দুই থেকে তিন ফুট হতে পারে।

শোল মাছ চাষের জন্য কুকুর নির্বাচন এবং প্রস্তুতি গ্রহণঃ

শোল মাছ চাষের জন্য পুকুর প্রস্তুতি যে কোন উপগ্রহের সংবাদ চাষ করা যায় তবে তাকে উপযুক্ত পরিবেশ দিতে হবে। যে প্রগ্রেশন চাষ হবে সে পুকুরের কচুরিপানা অথবা কর্মীলতা থাকলে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। কারণ শোল মাছ আড়ালে থাকতে পছন্দ করে। তবে খেয়াল রাখতে হবে কচুরিপানা যেন পুকুরের ভরে না যায়। উপরে চারদিকে কমপক্ষে পাঁচ থেকে ছয় ফুট উচ্চতায় জাল দিয়ে বেড়া দিতে হবে তা না হলে বর্ষাকালে শোল মাছ লাফিয়ে ওঠে চলে যেতে পারে।

শোল মাছের খাদ্য প্রস্তুত এবং গ্রহণ প্রণালীঃ

খাদ্য হিসেবে শোল মাছ সাধারণত খোল বাকুড়া দিয়ে বানানো খাবার খায় না ছোট মাছি এর প্রধান খাদ্য পোনা মাছের প্রিয় খাদ্য শুটকি ইত্যাদি হতে পারে। সেই জন্য পোনা মাছকে খাবার হিসেবে চিংড়ি শুটকি গোড়া ভালোভাবে পিছে দিতে হবে এভাবে ১৫ দিন খাওয়ানোর পর পোনা গুলো প্রায় দুই থেকে তিন ইঞ্চি হয়ে যাবে। 

দুই থেকে তিন ইঞ্চি কোন মসজিদের পর খাদ্য হিসেবে কাপ জাতীয় মাছের ধারে পোনা দেওয়া যেতে পারে সঙ্গে ছোট ছোট ব্যাংক আছে ইত্যাদি খাদ্য হিসেবে দেওয়া যেতে পারে। এবং বড় মাছের জন্য ছোট ছোট মাছ তবে মরা টাটকা মাছ খেতে দিলে এরা খুবই তাই ভালোবাসে।

শৈল মাছের মিশ্র চাষঃ

মিশ্র চাষ হিসেবে আমাদের দেশের শৈল মাছের একক চাষের সম্ভাবনা খুবই কম বললেই চলে কেননা এত কাঁচা মাছ শুটকি ব্যাংক বাদামী যুগান দেওয়া সম্ভব নয়। তাই মিশ্র মাছের সঙ্গে শোল মাছের চাষ করা যেতে পারে। সাধারণত ছয় মাসের একটি শোল মাছের ওজন ৭০০ থেকে ১০০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকতে দেখা যায়।

শৈল মাছের রোগ বালায়ঃ

রোগ বালাই হিসেবে সাধারণত শীতকালের শোর মাছের ক্ষত রোগ দেখা যায় এবং এ সময় মৎস্য কর্মকর্তা দিয়ে নিতে পারেন।

শৈল মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি বা অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাঃ

শৈল মাছ আছে উৎপাদন বৃদ্ধি ও অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত তা না হলে আগামী কয়েক বছর দেশীয় মাছের চিহ্ন খুঁজে পাবেনা তাই অবশ্যই আমাদেরকে রাখতে হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং পাশাপাশি মৎস্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে শৈল মাছের চাষ অব্যাহত রাখতে হবে।

পাবদা মাছ চাষের ভূমিকাঃ

পাবদা মাছ চাষে কৃষক ভাই ও বোনেরা যারা আগ্রহী হয়ে আছেন তারা অবশ্যই পাবদা মাছ চাষের আগে কুকুর নির্বাচন প্রস্তুতি ইত্যাদি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে কেননা পাবদা একটি খুব জনপ্রিয় এবং দামি মাছ। চলুন আমরা পাবদা মাছের কিছু চাষের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ পদ্ধতি জেনে নেইভ

পাবদা মাছ চাষের জন্য পুকুর নির্বাচনঃ

পাবদা মাছ চাষের জন্য সাধারণত সাত থেকে আট মাস পানি থাকে এইরকম ১৫ থেকে ২০ শতাংশের কুকুর বা জলাশয় নির্বাচন করা যায়। অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে কুকুরটি বন্যা মুক্ত এবং পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা থাকতে হবে সেদিকেও লক্ষণীয় বিষয়।

পুকুর প্রস্তুতি গ্রহনঃ

পাবদা মাছের জন্য অবশ্যই করতে হবে যেমন কুকুর যদি প্রস্তুতি ভালো না হয় তাহলে পাবদা মাছ চাষ করা খুবই কঠিন হয়ে পড়বে। কেননা কোন মজুদ খাদ্য ছাড় ও প্রয়োগ করার সময় অবশ্যই পুকুর প্রস্তুতির গ্রহণযোগ্যতা অনেকটাই বাঞ্জনীয়।

পুকুরের পাড় পরিষ্কার এবং ঝোপঝাড় বা আগাছা দমনঃ

চাষের জন্য উপযুক্ত পুকুর নির্বাচনের পর এবং প্রস্তুতি পর পুকুরের পাড় মেরামত এবং আগাছা পরিষ্কার করতে হবে কেননা পুকুরে প্রতি শতাংশে এক কেজি হাড়ে চুন প্রয়োগ করতে হবে এবং চুন প্রয়োগের তিনদিন পর প্রতি শতাংশ সাত থেকে আট কেজি গোবর প্রয়োগ করে দিতে হবে। শতাংশ প্রতি তিন থেকে চার গ্রাম ওজনের সুস্থ সবল ২০০ থেকে ২৫০ টি পোনা মজ ুদ করা যেতে পারে। 

সম্পূরক খাদ্য হিসেবে দেহে ওজন ৫ থেকে ১০ ভাগ হারে ২৫ থেকে ত্রিশ পার্সেন্ট আমি সমৃদ্ধ খাবার প্রতিদিন দুইবার প্রয়োগ করতে হবে। এবং প্রাকৃতিক খাবার উৎপাদনের জন্য ১৫ দিন অন্তর চার কেজি গোবর সার প্রয়োগ করা যেতে পারে।

মাছ আহরণ ও উৎপাদনঃ

সাধারণত ৭ থেকে ৮ মাসের মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫ গ্রাম ওজন হলেই পাবদা মাছ আহরণ করা যাবে এবং পদ্ধতিতে এক চাষের ১৪ থেকে ১৫ কেজি মাছ উৎপাদন করা যেতে পারে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url