মাথা ব্যাথা কমানোর উপায় | মাথা ব্যথার কারণ ও প্রতিকার।

মাথাব্যথা একটি আজকাল মানুষের কমন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১০০% এর মধ্যে প্রায় ৬০% মানুষেরই মাথাব্যথা কোনো না কোনো কারণে হয়ে থাকে। এই মাথাব্যথাটা মূলত অতিরিক্ত টেনশন, ঠান্ডা লাগা, রাত জাগা, অনিয়ত ঘুম ইত্যাদি কারণ হতে পারে। আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে জানব মাথা ব্যথা হলে কিভাবে কমানো যায় এবং তার কারণ ও প্রতিকার।
ঘন ঘন মাথা ব্যথার কারণ কিমাথা ব্যাথা হলে করণীয়মাথা ব্যথার প্রতিকারমাথার তালুতে ব্যথা কারণমাথা ভারী লাগার কারণমাথার মাঝখানে ব্যথার কারণ কিমাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণমাথার উপরে ব্যথার কারণঘন ঘন মাথা ব্যথার কারণ কিমাথা ব্যাথা হলে করণীয়মাথা ব্যথার প্রতিকারমাথার তালুতে ব্যথা কারণমাথা ভারী লাগার কারণমাথার মাঝখানে ব্যথার কারণ কিমাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণমাথার উপরে ব্যথার কারণ
আপনার যদি কোন কারণবশত মাথা ব্যথা হয়ে থাকে কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে বা কোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে মাথার ব্যথা উপশম নিমিষেই শেষ করবেন। এই পোস্টটির মাধ্যমে আমি আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন দেখি মাথা ব্যাথা হলে কিভাবে মাথা ব্যথা নিরাময় করা যায় এবং এর কারণ ও প্রতিকার গুলো কি কি

পোস্ট সূচীপত্রঃ

  • মাথা ভারী লাগার কারণ
  • মাথা ব্যথার কারণ
  • মাথা ব্যাথা কমানোর উপায়
  • মাথা ব্যথার প্রতিকার

মাথা ভারী লাগার কারণ।

মাথা ব্যথা মানুষের একটি কমন রোগ। এরোগে ভোগেন না এমন কোন ব্যক্তিকে খুব কম পাওয়া যায়। কমবেশি সবাই মাথা ব্যথা অসুখে-ভুকে থাকে। এটি খুব পরিচিত দুটি কারণ হলো মাইগ্রেশন আর আরেকটি হল টেনশন। ১০ শতাংশের জন্য দায়ী মাইগ্রেশন হলো ধূমপান, মদ্যপান, মাদকাসক্তি, অতিরিক্ত ও অনিয়ত ঘুমের ওষুধ সেবন, তাছাড়া গরম আবহাওয়া শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম, মানসিক পরিশ্রম ক্ষুধার্ত থাকা ইত্যাদি কারণ হতে পারে।

আরো পড়ুন,

আলোচনা প্রেক্ষিতেই বলা যায় যে মাথা ভারী লাগার কারণগুলো অনেকেই হতে পারে যেমন ঘুমের ঘাটতি। আপনার যদি অনিয়মিত ঘুম হয় বা ঘুমের কোন ঘাটতি থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে মাথা ব্যথা হতে পারে। এর জন্য আপনার চা খেলে আপাতত ভালো লাগবে পারে। 

তাছাড়া নিয়মিত ঘুমানোর চেষ্টা করবেন তাহলে ইনশাল্লাহ মাথাব্যথা কমে যাবে। এক্ষেত্রে আরো বলা যায় ঠান্ডা লাগা বার্ষদ দিয়ে কোন উপক্রম হলে তিনি ছাড়া আদা দিয়ে চা খেতে হবে।

মাথা ব্যথার কারণ।

আমি ইতিমধ্যে মাথার ভারী থাকে কি জন্য সংক্ষেপে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। মাথাব্যথার কারণ গুলো কি হতে পারে তা সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। মাথা ব্যথার কারণ অনেকেই হতে পারে যেমন,

অতিরিক্ত টেনশন বা চিন্তার কারণঃ আপনি যদি অতিরিক্ত টেনশন বা চিন্তা করে থাকেন তাহলে কপাল বা মাথার অগ্রভাগে কিছুটা অংশ নিয়ে অতিরিক্ত ব্যথা অনুভব করবেন।

অস্বাভাবিক দেহ ভঙ্গি্ঃ  আপনার অসুস্থতার দেহভঙ্গি যেমন হতে পারে কাত হয়ে ঘুমানো বা কুজো হয়ে বসে থাকা ইত্যাদির কারণ। এই অস্বাভাবিক ভাবে কাজ হয়ে ঘুমানো এবং কুজো হয়ে বসে থাকা যা দুটোতেই মাথাব্যথার কারণ। কেননা সাধারণত নিজের দিকের টনটন ব্যথা করে এই জন্য যে কাজ হয়ে শরীরে বা বসে থাকলে রগগুলো অস্বাভাবিক থাকে তাই মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে।

মাথা ব্যাথা কমানোর উপায়।

মাথা ব্যথা কমানোর জন্য বিভিন্ন চিকিৎসকগণ বিভিন্ন চিকিৎসা প্রদান করে থাকেন। তাছাড়া কেউ বা ঘরোয়া পরিবেশেও মাথাব্যথার কারণ খুঁজে থাকেন। এর জন্য আপনার যদি অতিমাত্রায় মাথা ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে আপনি বিশেষজ্ঞ কোন মাথা ব্যথার পরামর্শ নিতে পারেন। 

আর আপনি যদি মনে করেন যে ঘরোয়া পরিবেশে মাথাব্যথা কিভাবে কমানো যায় তাহলে কিছু পদ্ধতির অনুসরণের মাধ্যমে মাথাব্যথা কমানো যেতে পারে।
  • সাধারণত মাথা ব্যথা বলতে অনেকেই প্যারাসিটামল বা বেদনাদায়ক ওষুধ খেয়ে থাকেন। যখন তখন ওষুধ খাওয়া শরীরের পক্ষে মোটেও কিন্তু ঠিক না।
  • এর জন্য সবার ঘরে বা সবার বাসাতেই দারুচিনি থাকে। মাথা ব্যথা কমানোর জন্য দারুচিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ হিসেবে কাজ হয়।
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফরমেটরি যোগ ও ভরপুর বিশেষ করে আদায় পাওয়া যায়। মাথা ব্যথা কমানোর জন্য আপনি চায়ের সাথে আদাও খেয়ে থাকতে পারেন।
  • আধা ছাড়াও আপনি লবঙ্গ চা দিয়ে যদি খেতে পারেন তাহলে আপনার মাথা ব্যথা কমানোর জন্য অনেকটাই মহা ওষুধ হিসেবে কাজ করে।

মাথা ব্যথার প্রতিকার।

আসুন জেনে নেই মাথা ব্যাথার প্রতিকার কিভাবে করবেন, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তে পারিবারিক বা পেশাগত কিংবা মানসিক চাপে সঙ্গে এই ব্যথা সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে। মাথাব্যথা থেকে ততক্ষণিক পরীক্ষা পেতে বিভিন্ন ব্যাপক ব্যথা নাশক ওষুধ সেবন করতে পারেন যেমন প্যারাসিটামল, ডাইক্লোফেনাক ইত্যাদি।

ব্যথা নাশক ওষুধের সঙ্গে অবশ্যই পেপটিক আলসার রোধী ওষুধ খেতে হতে পারে। অতিরিক্ত ব্যাথা নাশক ওষুধ সেবনেও মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুনঃ 
  • কখনোই আপনি খালি পেটে থাকবেন না এবং মোবাইল বা কম্পিউটারের পর্দা থেকে নিজস্ব সময় অন্তর কিছুক্ষণের জন্য বিশ্রাম নিবেন।
  • ঘাড়ের কাছে রগে দুটো পাশ রয়েছে যদি খানিকক্ষণের জন্য আঙ্গুলের টাকা দিয়ে মেসেজ করবেন তাহলে দেখবেন অনেকটাই ক্লান্তি দূর হবে এবং আরাম পাবেন।
  • বেশি বেশি মাথাব্যথা ও অসুরের ব্যথা হলে দ্রুত চিকিৎস্যকর পরামর্শ নিবেন।
শেষ কথাঃ পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি আমার পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে জানতে পেরেছেন, যে মাথা ব্যথা কিসের জন্য হয় এবং লক্ষণগুলো কি কি এবং তার প্রতিকার কি। আপনার যদি অতিরিক্ত মাথা ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে আপনি উপরে দেওয়া পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করতে পারেন। তাছাড়া ভালো মানের কোন মাথা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url