চোখ চুলকালে কি করা উচিত।

চোখ একটি মানুষের অমূল্য সম্পদ। এটি আল্লাহ তাআলার দান। চোখ মানুষের না থাকলে মানুষ অন্ধহীন হয়ে পড়ে। দুনিয়ার ভালো মন্দ সে কিছুই বিচার করতে পারে না। এই চোখটিকে আমরা সামান্য পরিমাণ অবহেলা করলে অনেক ধরনের ক্ষতি হতে পারে। আসুন আজকে আমরা জেনে নিব চোখ চুলকালে আমাদের কি করা উচিত।
বাম চোখ চুলকালে কি হয়চোখ চুলকানির ঔষধচোখ দিয়ে পানি পড়া ও চুলকানি ড্রপচোখ চুলকানোর ড্রপচোখ চুলকানির ড্রপের নামচোখের এলার্জির ড্রপ	চোখ দিয়ে পানি পড়া ও চুলকানি ঔষধচোখ খচখচ করলে কি করা উচিতচোখ খচখচ করার কারণচোখে কাটা কাটা লাগার কারণচোখের ময়লা পরিষ্কারের ড্রপচোখে কিছু পড়লে কি দোয়া পড়তে হয়চোখ পরিষ্কার করার ড্রপ নামচোখের আঘাত জনিত ব্যথার ঔষধ কিচোখে রক্ত জমাট দূর করার ড্রপ
আমাদের চোখের বিভিন্ন সমস্যা হয়ে থাকে। এর মধ্যে চোখ চুলকায়। এমত অবস্থায় চোখ চুলকালে আমাদের কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত এবং কিভাবে আমরা চোখ চুলকালে তার সমস্যা সমাধান করব তা এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নেব। অবশ্যই আপনি আমারে পোস্টটিকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লেই বুঝতে পারবেন চোখ চুলকালে করনীয় কি কি এবং কি করা উচিত।
পোষ্ট সুচিপত্রঃ
  • চোখ চুলকায় কেন
  • ঠান্ডা সেক দেওয়া
  • শসা জাতীয় দ্রব্য ব্যবহার।
  • টি ব্যাগ এর ব্যবহার
  • অ্যালোভেরা ব্যবহার
  • চোখ চুলকানোর মধু ব্যবহার

চোখ চুলকায় কেন।

বিভিন্ন চিকিৎসকগণ চোখ চুলকানোর কারণ উল্লেখ করেছেন এর মধ্যে বেশ কিছু কারণ গুলো হল চোখের পৃষ্ঠ বা পৃষ্ঠতলে ঝিল্লিতে প্রদাহ। এরপর সর্দি গলা ধরে যাওয়া হাঁচি ইত্যাদি কারণেও চোখ চুলকানো কারণ হতে পারে। চোখের পাতা ফুলে যাওয়া চোখে জল ভরে যাওয়া ইত্যাদির কারণেও চোখের চুলকানো সমস্যা হয়।
আরো পড়ুন,
এছাড়াও এলার্জির কারণ ড্রাই আইস সিনড্রম black it is চোখের পাতা ্নিয়া ও কনজাং টিভ ঝিল্লির প্রদাহ চোখের গতি আলো চোখের পিচ জল বা চক্ষু তারার প্রতিক্রিয়া ঘটাতে সাহায্য করে। এ ক্ষেত্রে চোখ চুলকাতে থাকে।

চোখের সমস্যার মধ্যে চুলকানি একটি বিরাট সমস্যা। এই নিয়ে অবশ্যই মাথা ব্যথা থাকে না। সামান্য কিছু চিকিৎসার মাধ্যমে আমরা চোখ চুলকানির সমস্যা সমাধান করে থাকি। এর জন্য পরবর্তীতে চোখের বড় ধরনের ক্ষতিও হতে পারে। যদি আমরা উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ না করি তাহলে চোখটিও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

চোখ চুলকানোর সময় আমাদের অবশ্যই কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমেই তা সমাধান করতে হবে। যেমন চোখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে করে ঠান্ডা পানি বা বরফ ব্যবহার করা অতবৎসক। হালকা গরম ভাব অনেক সময় চোখের চুলকানি কমাতে গরম তার অনেকেই উপকারী বলে মনে করে থাকেন। আই ড্রপ প্রেসক্রিপশন ছাড়াই দোকানে কিছু আই ড্রপ পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে।

নিচে কিছু চোখ চুল কারোর সমস্যার সমাধান নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলো বা আলোচনা করা হলো সেগুলো আপনি ট্রাই করে দেখতে পারেন।

ঠান্ডা সেক দেওয়া।

চোখে ফোলা বা চুলকানি কমাতে ঠান্ডা সেক অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে প্রথমে চোখের উপর ও আশেপাশের বরফের পানি ছিটা দিতে হবে চোখ বন্ধ করে চোখের উপর কিছুক্ষণ ধরে রাখুন।

শসা জাতীয় দ্রব্য ব্যবহার।

চোখ চুলকানি সমস্যা সমাধানে শসা ব্যবহার করতে পারেন কারণ শাশায় আছে অ্যান্টি েশন প্রপার্টিজ যা চোখের জ্বালা পোড়া ফোলা ভাব চুলকানি ইত্যাদি সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকে।

টি ব্যাগ এর ব্যবহার। 

চোখে চুলকানো সমস্যার সমাধানের জন্য টি ব্যাগ ব্যবহার করা যেতে পারে একটি গ্রীন ব্লাক টি ব্যাগ দিয়ে এক কাপ চা তৈরি করুন এরপর টি ব্যাংকটিকে সম্পূর্ণ ঠান্ডা করে ফেলুন। কিছুক্ষণ পর চুলকানো ও প্রদাহ কমাতে ঠান্ডা টিব্যাগ কে চোখের উপর রেখে দিন। এতে অনেকটাই চোখের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

অ্যালোভেরা ব্যবহার।

জেলেও আছে চুলকানির মতো সমস্যার সমাধান। একটি পাতা থেকে এলোভেরা জেল বের করে চোখের আশপাশে বন্ধ পাতার ওপর ব্যবহার করুন এতে অনেকটাই উপশম পেয়ে যাবেন।

চোখ চুলকানোর মধু ব্যবহার।

মধু হচ্ছে অনেক রোগের ই মহা চিকিৎসক। মধু অনেক ছোটখাটো শরীর সমস্যা সেরা প্রতিকার। সমাধানের উৎস। মধুর সঙ্গে হালকা গরম দুধ মেশালে আরো কার্যক্রম ভূমিকা পালন করে একই পরিমাণ মধু ও দুধ মিশিয়ে দুটি কটন প্যাডে লাগিয়ে বন্ধ চোখের পাতার উপর 15 থেকে 20 মিনিট ধরে রাখুন এতে চুলকানিও জ্বালাপোড়া অনেকটাই কমে যাবে।

সম্মানিত পাঠক ভাই ও বোনেরা আপনি যদি চোখের সমস্যা বা চোখ চুলকানো সমস্যায় ভুগে থাকেন। তাহলে অবশ্যই এই পদক্ষেপের মাধ্যমে আপনার চোখের সমস্যা দূর করতে পারেন। এছাড়াও আপনি ভাল কোন একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চোখে চুলকানো সমস্যা সমাধান করে নিতে পারবেন।

পরিশেষে বলা যায় যে চোখ চুলকালে যেসব পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা উচিত তা আপনি হয়তো জেনে গেছেন। তাছাড়া কি জন্য চোখ চুলকায় এবং চোখ চুলকালে কি করা উচিত তা ভালোভাবে উপলব্ধ করতে পেরেছেন। আপনি যদি এই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এই পোস্টটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন যে আপনার কি করা উচিত।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url